سامانثا




আজ আমি আপনাদের এমন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করব যা সমগ্র ভারতবষীদের জন্য উদ্বেগের কারণ। আমার নাম সামান্থা, আমি একজন সাধারণ মেয়ে। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে বড়ো হয়েছি। আমার বাবা একজন সাধারণ চাকুরিজীবি এবং আমার মা একজন গৃহবধূ। আমার ছোট একটি ভাই আছে। আমাদের পরিবার সুখে শান্তিতে ছিল। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে আমার পরিবারের অবস্থা আস্তে আস্তে খারাপ হতে লাগল। আমার বাবার চাকরি চলে গেল। আমার মায়ের অসুখ হলো। আমরা আমাদের বাড়িটাও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হলাম।

এরপর আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হতে লাগল। আমরা খেতে পাচ্ছিলাম না। আমার ভাইকে স্কুল ছেড়ে দিতে হলো। আমার মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমার বাবা কাজের সন্ধানে রোজ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন। কিন্তু কোন কাজ পাচ্ছিলেন না। আমাদের সব সঞ্চয় শেষ হয়ে গেল। আমরা আর কোনো উপায় খুঁজে পেলাম না।

একদিন আমরা বাস্তুহারা হয়ে রাস্তায় ঘুমোচ্ছিলাম। তখন একদল লোক আমাদের পাশে এলো। তারা আমাদের কিছু খাবার দিলো। আমরা তাদের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম। তারা আমাদের বললো যে, আমরা তাদের সাথে চললে তারা আমাদের কাজ দেবে এবং থাকার ব্যবস্থা করে দেবে। আমরা তাদের সাথে চলে গেলাম।

তারা আমাদের একটি বড়ো বাড়িতে নিয়ে গেল। সেখানে অনেক মেয়ে ছিল। তাদের অবস্থা আমাদের মতোই খারাপ। তারা আমাদের বললো যে, আমরা এখানে ঘরের কাজ করবো এবং তারা আমাদের খাওয়া-দাওয়া দেবে। আমরা তাদের কথা মতো কাজ করতে লাগলাম।

কিন্তু কিছুদিন পর আমরা বুঝলাম যে, আমাদের ভুল হয়েছে। এই বাড়িটি আসলে একটি শিশু বিক্রির কারখানা। এখানে মেয়েদেরকে অপহরণ করে এনে গর্ভবতী করা হয়। তারপর তাদের বাচ্চাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমরা ভয় পেয়ে গেলাম। আমরা এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমরা ধরা পড়লাম। তখন তারা আমাদের খুব মারধর করলো। আমাদের পা-হাত বেঁধে রেখে দিলো।

আমরা কান্নাকাটি করতে লাগলাম। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে লাগলাম। এমন সময় একদিন আমার বাবা এখানে আমাদের খুঁজতে এলেন। তিনি আমাদের খুঁজে পেয়ে খুব খুশি হলেন। তিনি আমাদের সাথে নিয়ে পালিয়ে গেলেন।

এরপর আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলাম। পুলিশ সেই বাড়িতে অভিযান চালালো। সেখান থেকে আরও অনেক মেয়েকে উদ্ধার করা হলো। সেই শিশু বিক্রির কারখানার মালিক ও কর্মচারীদেরও গ্রেফতার করা হলো।

এরপর আমাদের পরিবারের অবস্থা আবার সুধরে গেল। আমার বাবা আবার চাকরি পেলেন। আমার মা সুস্থ হয়ে উঠলেন। আমার ভাই আবার স্কুলে যাওয়া শুরু করলো। আমরা আবার সুখে শান্তিতে থাকতে লাগলাম।

আজ আমি আপনাদের বলতে চাই যে, আমরা কখনোই অপরিচিতদের সাথে না ঘুরে বেড়ানোর জন্য এবং সবসময় সতর্ক থাকার জন্য। আমি আশা করি যে, আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের জন্য সতর্কবার্তা হবে।