ऐশ্বর্য রায়




ছোটবেলা থেকেই আমি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার একজন উৎসাহী অনুসারী ছিলাম। বিশেষ করে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা আমার কাছে সবচেয়ে উற்সাহজনক ছিল। প্রতি বছর আমি অপেক্ষা করতাম এই প্রতিযোগিতার জন্য। মঞ্চে নানান দেশের সুন্দরী মেয়েরা একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত এবং শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটি মিস ওয়ার্ল্ড মুকুট জিতত।
১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সান সিটিতে। সেই বছর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন একজন মডেল এবং স্থপতি শিক্ষার্থী, যার নাম ছিল ऐশ्वर्या राय। প্রথম থেকেই ऐশ্বर्या राय সবার নজর কেড়েছিলেন। তার অসাধারণ সৌন্দর্য, আত্মবিশ্বাস এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য তিনি প্রতিযোগিতায় প্রথম সারির প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন।
প্রতিযোগিতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হলো সাক্ষাৎকারের পর্ব। এই পর্বে প্রতিযোগীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় এবং নিজেদের বুদ্ধিমত্তা ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে হয়। ऐশ्वर्या राय এই পর্বেও অসাধারণ পারফর্ম করেছিলেন। তার উত্তরগুলো ছিল সুচিন্তিত এবং প্রাসঙ্গিক এবং তার ব্যক্তিত্ব ছিল আকর্ষণীয়।
শেষ পর্যন্ত প্রতীক্ষিত মুহূর্তটি এল। মঞ্চের উপর ঘোষণা করা হলো যে ১৯৯৪ সালের মিস ওয়ার্ল্ড হলেন ऐশ्वर्या राय। এই মুহূর্তটি আমার জন্য অবিশ্বাস্য ছিল। আমি অশ্রুসিক্ত চোখে টেলিভিশন পর্দার দিকে তাকিয়েছিলাম। আমার দেশের একজন মেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে তকমা পেয়েছে!
ऐশ्वर्या राय এর বিজয় শুধু ভারতবর্ষের জন্যই নয়, সারা বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা ছিল। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে সৌন্দর্য কেবল শারীরিক সৌন্দর্য নয়, এটি মনের এবং আত্মার সৌন্দর্যও। তিনি দেখিয়েছিলেন যে একজন নারী সুন্দরী এবং বুদ্ধিমান উভয়ই হতে পারেন।
ऐश्वर्या राय এর বিজয় আমার জীবনেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘটিয়েছিল। তার সাফল্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল আমার স্বপ্নগুলো অনুসরণ করতে। তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন যে যদি আমি আমার মনের কথা শুনি এবং নিজের প্রতি বিশ্বাসী হই, তাহলে আমি যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারি।
আজ ऐश्वर्या राय একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী, প্রযোজক এবং মানবাধিকার কর্মী। তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ও সুন্দরী নারীদের একজন। তিনি আমাদের জন্য একটি আদর্শ, যিনি দেখিয়েছেন যে একজন নারী সবকিছু অর্জন করতে পারেন যদি তিনি তার মনের কথা শুনেন এবং নিজের প্রতি বিশ্বাসী হন।