ভারত এবং বাংলাদেশ - দুটি দেশ যাদের মধ্যে ভাষা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের একটি দীর্ঘস্থায়ী বন্ধন রয়েছে। ক্রিকেটের প্রতি উভয় দেশের এই ভালোবাসার ফল একটি রোমাঞ্চকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যা ক্রিকেট মাঠে বার বার খেলা হয়েছে।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয় ১৯৭৯ সালে, যখন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সেই থেকে, দুই দেশ ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ, ৮৪টি ওয়ানডে এবং ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে।
যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতোই, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যেও বিজয়ের ও পরাজয়ের গল্প রয়েছে। ভারত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে, কিন্তু বাংলাদেশও কিছু অবিস্মরণীয় জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
২০১২ সালের এশিয়া কাপ চূড়ান্তে টাইগারদের হাতে হারের পর, ভারতীয় দল বারবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলার সময় অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে গিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, উভয় দলেরই কিছু দুর্দান্ত তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের উত্থান হয়েছে।
এই তরুণদের উত্থান দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাদের প্রতিভা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা আগামীতে আরও রোমাঞ্চকর ম্যাচের প্রতিশ্রুতি দেয়।
মাঠের বাইরে, ভারতীয় এবং বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভাগ করে নেন। তারা প্রায়ই একসঙ্গে অনুশীলন করে, টিপস শেয়ার করে এবং মাঠের বাইরে বন্ধুত্ব বজায় রাখে।
"আমরা মাঠের বাইরে ভালো বন্ধু। আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করি, একসঙ্গে ডিনার খাই। যখনই আমরা মাঠে যাই, আমরা একে অপরের সর্বোত্তম খেলাটিকে বের করে আনার চেষ্টা করি।" - বিরাট কোহলি
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আগামী বছরগুলিতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুই দলই তাদের খেলা উন্নত করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও দুর্দান্ত ম্যাচ আশা করা হচ্ছে।
যারা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি সত্যিই একটি স্বর্ণযুগ। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে আরও অনেক রোমাঞ্চকর ম্যাচের অপেক্ষায় আছি।