शतক
কেউ যদি শুধুমাত্র সত্যের খোঁজ করতো তাহলেও সে কি জানতো সত্য কী? সত্যি আদৌ কি বলার কথা, না বরং পুরো জীবনওয়ারি বোধ হওয়া। আমাদের আশেপাশে অনেক কথা, অনেক ব্যক্তি, যে অধিকাংশ সময়ই সত্যি কথা বলে না। এমনকি সিধু কানহাইয়ার হরিভক্তিকেও কেউ কেউ বলে বানোয়াট। আর এমন অনেক আছে যাদের কথায় সত্যের গন্ধ পাওয়া যায়। তাদের কথা শোনার পরই মনে হয়, হ্যাঁ এটাই সত্য। তুমি কি জানো তুমি কাকে বিশ্বাস করবে?
আমরা সবাই জানি যে, সত্য কখনো মিথ্যার চেয়ে শক্তিশালী। সত্যি সবসময়ই মিথ্যাকে হারিয়ে দেয়। কিন্তু কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুবই জটিল। কারণ, অনেক সময় এমন কিছু অবস্থা দেখা দেয় যেখানে আমরা সত্য কথাটা বলতে ভয় পাই। আর সেইসময় মিথ্যাই বেশি শক্তিশালী হয়ে যায়। এমনকি কোন কিছু মিথ্যে হওয়া সত্ত্বেও আমরা সেটা জানার চেষ্টা করিনা। কারণ সেই সত্যি আমরা হয়তো সহ্য করতে পারবোনা। তাই সত্যকে উপেক্ষা করে আমরা মিথ্যেই বিশ্বাস করতে থাকি। এই সব মিথ্যেই আমাদের জীবনকে সুন্দর বলে মনে করিয়ে দেয়।
আজকের দুনিয়ায় সত্য খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, আমাদের চারপাশে এতো মিথ্যে ছড়িয়ে আছে যে, সত্যকে খুঁজে পাওয়া যেনো সমুদ্রের মধ্যে একটি সূঁচ খোঁজার মতো। তবে, কিছু সত্য এমন আছে যেগুলোকে আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। যেমন, মৃত্যু সত্য। সময় সত্য। জন্ম সত্য। এই সব সত্যকে আমরা অস্বীকার করতে পারবোনা। কিন্তু, কিছু সত্য আছে যেগুলো আমরা মানতে চাইনা। যেমন, আমরা সবাই মরব। আমরা সবাই একদিন বুড়ো হব। আমরা সবাই একদিন অসুস্থ হব। এই সব সত্যকে মানতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। তাই আমরা এগুলোকে অস্বীকার করে নিজেদেরকে মিথ্যে দিয়ে সান্ত্বনা দিই।
আমাদের জীবনকে সুন্দর করার জন্য কিছু মিথ্যে খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু, সব মিথ্যে ক্ষতিকর। তাই, আমাদের সবসময়ই খেয়াল রাখতে হবে কোন মিথ্যে ক্ষতিকর আর কোনটা নয়। যদি কোন মিথ্যে আমাদের জীবনকে সুন্দর করছে তাহলে সেই মিথ্যে বলতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু, যদি কোন মিথ্যে আমাদের জীবনকে ক্ষতি করছে তাহলে সেই মিথ্যে বলানো উচিত নয়।
সত্য সবসময়ই মিথ্যার চেয়ে শক্তিশালী। কিন্তু, কখনো কখনো সত্যকেও অস্বীকার করা যায়। কিন্তু, সত্যকে অস্বীকার করলেও সত্য থাকেই। তাই, সবসময় সত্যের পক্ষে থাকুন। সত্যকে সমর্থন করুন। কারণ, সত্য সবসময়ই বিজয়ী হয়।