অনন্ত অম্বানীর গল্প: পথের বাঁকে এক দীপ্তমান তারা




বলিউড অভিনেতা মৃণাল ঠাকুরের সঙ্গে সাম্প্রতিক কান উৎসবে উপস্থিতি দিয়েই চোখ ধাঁধিয়েছিলেন অনন্ত অম্বানী। শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী ও নীতা অম্বানীর ছোট ছেলে, যিনি একসময় তাঁর ওজন নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হতেন, আজ এক উজ্জ্বল তারকরাজ। নিজের শরীর ও জীবনধারা পরিবর্তন করে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, পরিশ্রম, দৃঢ় সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাসই হল সফলতার মূল চাবিকাঠি।

একসময় অনন্তের ওজন ছিল ১৬০ কিলো। যদিও তিনি খুব ছোট থেকেই ক্রীড়াবিদ ছিলেন, তবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে তার ওজন বেড়ে যায়। লাইফস্টাইলের পরিবর্তন ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে ১০৮ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেন।

আদতে তিনি কীভাবে ওজন কমিয়েছিলেন?
  • কঠোর ডায়েট: অনন্ত প্রতিদিন 1200-1500 ক্যালোরি গ্রহণ করতেন। তাঁর খাদ্যতালিকা ছিল শাক-সবজি, ফল এবং লীন প্রোটিনের মিশ্রণ।
  • নियमিত ব্যায়াম: তিনি প্রতিদিন কমপক্ষে দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করতেন, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ওজন প্রশিক্ষণ, কার্ডিও এবং যোগ।
  • সম্মান ও আত্মবিশ্বাস: অনন্ত নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতেন যে তিনি ওজন কমাতে পারবেন। নেতিবাচক মন্তব্য বা ব্যঙ্গ তাঁর মনোবল ভাঙতে পারেনি।

ওজন হারানো ছাড়াও অনন্ত তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যেও গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ধ্যান এবং হঠযোগের অনুশীলন করেন, যা তার চাপ কমাতে এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

আজ, অনন্ত অম্বানী শুধুমাত্র একজন সফল ব্যবসায়ীই নন, তিনি একজন প্রেরণাসূচকও। তাঁর গল্প শেখায় যে, কিছুই অসম্ভব নয় যদি কেউ সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করে।

অনন্ত অম্বানীর কাহিনি আমাদের সকলকেই অনুপ্রাণিত করুক যে, আমরাও নিজের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে পারি। আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ই আমাদের সাফল্যের সহচর হবে।