আমরা কখনও কখনও শুনি যে, মানুষের জীবন ঘটনা দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু কখনও কখনও, কিছু লোক নিজেরাই ঘটনাকে গড়ে তোলেন। অবনী লেখরা সেই ধরনের লোকদেরই একজন।
অবনী একজন প্যারালিম্পিক শ্যুটার যিনি ২০১৬ সালে একটি কার দুর্ঘটনায় তাঁর মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে অক্ষম হয়ে যান। কিন্তু তিনি হতাশ হননি। তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেন এবং শ্যুটিংকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নেন।
অবনী তাঁর ইচ্ছাশক্তি এবং একাগ্রতার জন্য পরিচিত। তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলন করতেন, তাঁর লক্ষ্যকে নিখুঁত করতেন। তাঁর পরিশ্রম ফল দিয়েছে। তিনি ২০১৬ সালের রিও প্যারালিম্পিকে একটি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। আরও সম্মান লাভ করেছিলেন ২০২১ সালের টোকিও প্যারালিম্পিকে, যেখানে তিনি মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফল স্ট্যান্ডিং এসএইচ১ ইভেন্টে সোনা এবং ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
অবনীর সাফল্য সীমানার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি ভারতের বছরের সেরা প্যারালিম্পিক অ্যাথলিট নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং অর্জুন পুরস্কারও জিতেছিলেন। তাঁর সাফল্য প্যারালিম্পিক আন্দোলনের জন্যও একটি অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে শারীরিক সীমাবদ্ধতা সফলতার পথে বাধা হতে পারে না।
অবনীর গল্প আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। এটি আমাদের শেখায় যে যদি আমাদের ইচ্ছাশক্তি থাকে তবে আমরা যা কিছু চাই তা অর্জন করতে পারি। শুধু আমাদের অবিচল থাকতে হবে এবং আমাদের লক্ষ্যে মনোনিবেশ করতে হবে। অবনী লেখরা একটি জীবন্ত উদাহরণ যে কিছুই অসম্ভব নয়।