অমিতাভ বচ্চনঃ সময়ের সাক্ষী




সবাইকে নমস্কার! আজ আমি আপনাদের সামনে আনছি ভারতের সবচেয়ে কিংবদন্তি অভিনেতাদের একজন, মিস্টার অমিতাভ বচ্চনের জীবন এবং কেরিয়ারের কিছু অজানা তথ্য।
প্রারম্ভিক জীবন:
১১ই অক্টোবর, ১৯৪২ সালে এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর পিতা হরিবংশ রাই বচ্চন ছিলেন একজন বিখ্যাত হিন্দি কবি এবং তাঁর মাতা তেজি বচ্চন ছিলেন একজন সামাজিক কর্মী।
অভিনয় জীবনের সূচনা:
অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় জীবন সূচনা হয় "সাত হিন্দুস্তানি" চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর তিনি "আনন্দ" (১৯৭১) এবং "জঞ্জীর" (১৯৭৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা তাঁকে মাত্র এক রাতে প্রখ্যাত করে তোলে।
"অ্যাংরি ইয়াং ম্যান":
"জঞ্জীর" চলচ্চিত্রটি অমিতাভ বচ্চনের জন্য একটি পরিবর্তনের সূচনা ঘটায়। এই চলচ্চিত্রে তাঁর "অ্যাংরি ইয়াং ম্যান" চরিত্রটি ভারতীয় যুবকদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। এই চরিত্রের মাধ্যমে অমিতাভ বচ্চন শুধুমাত্র একজন অভিনেতা নন, বরং একটি প্রতীকে পরিণত হন।
সিনেমার ভগবান:
অমিতাভ বচ্চনের অভিনয়ের জন্য তাঁকে "হিন্দি সিনেমার ভগবান" হিসাবে অভিহিত করা হয়। তিনি বহু বছর ধরে সিনেমার জগতে রাজত্ব করেছেন এবং অসংখ্য অ্যাওয়ার্ড এবং সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁর অভিনয়টি মাত্রই দক্ষ নয়, বরং এটি দর্শকদের অন্তঃকরণকে স্পর্শ করে।
ব্যক্তিগত জীবন:
অমিতাভ বচ্চন বিবাহিত জয়া বচ্চনের সাথে, যিনিও একজন প্রসিদ্ধ অভিনেত্রী। তাঁদের দুটি সন্তান, অভিষেক এবং শ্বেতা। অমিতাভ বচ্চন তাঁর পরিবারের খুব কাছের এবং তাঁকে একজন আদর্শ পিতা এবং স্বামী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
সামাজিক সক্রিয়তা:
অভিনয় ছাড়াও অমিতাভ বচ্চন একজন সামাজিক কর্মী। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত, যেমন পোলিও নির্মূল অভিযান এবং "সবে কি আনা" নামক একটি প্রতিষ্ঠান, যা মহিলাদের ক্ষমতায়ন করার জন্য কাজ করে।
বর্তমান জীবন:
বর্তমানে অমিতাভ বচ্চন এখনো অভিনয় অব্যাহত রেখেছেন এবং তাঁকে প্রায়ই বিভিন্ন টেলিভিশন শো এবং চলচ্চিত্রে দেখা যায়। তিনি ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান "লিজিয়ন ডি অনার" পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। অমিতাভ বচ্চন ভারতীয় সিনেমার একটি আইকন এবং তাঁর উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা রয়ে গেছে।
আপনার কাছে কি অমিতাভ বচ্চনের বিশেষ কোনো স্মৃতি আছে? নিচে মন্তব্য করে আমাদের জানান।