অ্যাম্বাসাডর ক�কারের আগমন হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। ন্যাশ মেট্রোপলিটন বেসড এই ক�কারটি তৈরী হয়েছিল ইংল্যান্ডের মরিস অক্সফ�র্ড এমও সিরিজের উপর ভিত্তি করে। "দ্য কিং অব রোডস" নামে পরিচিত এই ক�কারটি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
"এক সময় ভারতের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একটি করে অ্যাম্বাসাডর থাকতো," একজন পুরনো দিল্লি নিবাসী আমাকে বললেন, "এটি ছিল অবস্থার প্রতীক।" তবে, সময়ের সাথে সাথে আরও আধুনিক এবং দক্ষ ক�কারের আগমনে অ্যাম্বাসাডরের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে।
তবুও, ভারতীয় অটোমোবিল শিল্পের ইতিহাসে অ্যাম্বাসাডরের অবদান অস্বীকার করা যায় না। এটি ছিল ভারতে তৈরি প্রথম ক�কার। এটি ভারত সরকারের সরকারী এবং আধা-সরকারী যানবাহন ছিল। বলিউড ছবিতেও অ্যাম্বাসাডরের উপস্থিতি ছিল প্রায়ই।
আজ, অ্যাম্বাসাডর ক�কার আর তেমন দেখা যায় না। কিন্তু, ঠাকুমাদের বাড়ির গ্যারেজে বা পুরানো গ্যারেজগুলিতে এখনও এদের খোঁজ পাওয়া যায়। ভারতীয় অটোমোবিল শিল্পের এই কিংবদন্তির স্মৃতি সবসময় আমাদের মনে থাকবে।
অ্যাম্বাসাডর ক�কারেরও কিছু অসুবিধা ছিল। এটি ছিল অপেক্ষাকৃত ধীর এবং অদক্ষ। এটি আধুনিক ক�কারগুলির মতো আরামদায়ক ছিল না। তবে, এর অসুবিধাগুলি তার সুবিধাগুলির তুলনায় কিছুই ছিল না।
ভারত সরকার অ্যাম্বাসাডর ক�কারের প্রধান வா্যবহারী ছিল। এটি অনেক বছর ধরে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য সরকারী দপ্তরের জন্য অফিসিয়াল ক�কার ছিল। এটি জনগণের মধ্যেও অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
সময়ের সাথে সাথে, অ্যাম্বাসাডর ক�কারের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। আধুনিক ক�কারগুলি আরও দক্ষ, আরামদায়ক এবং নিরাপদ ছিল। ফলে, ২০০০ এর দশকের শুরুর দিকে অ্যাম্বাসাডর ক�কারের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও অ্যাম্বাসাডর ক�কার আর তেমন দেখা যায় না, কিন্তু এটি এখনও ভারতীয় অটোমোবিল শিল্পের একটি কিংবদন্তি। এটি ভারতীয়দের জন্য গর্বের বিষয় এবং এটি আমাদের মনে সবসময় থাকবে।