আইএএস অফিসার ডঃ পূজা খেদকর: এক অনুপ্রেরণাদায়ক যাত্রা




আজকের যুগে, আইএএস হওয়ার স্বপ্ন অনেকের। তবে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা বেশ কঠিন। দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং দৃঢ় সংকল্পের প্রয়োজন হয় এই স্বপ্ন পূরণের জন্য। আজ আমরা এমনই একজন আইএএস অফিসারের গল্প শুনবো, যিনি তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে এই কঠিন পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। তিনি হলেন ডঃ পূজা খেদকর।
পূজা খেদকর মহারাষ্ট্রের এক ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার শৈশব কেটেছে সাধারণ পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল তার বিশেষ আগ্রহ। স্কুল জীবনেও তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী ছাত্রী। পরবর্তীতে তিনি পুনের ফার্গুসন কলেজ থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি জেএনইউ থেকে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
আইএএস পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে ছিল পূজার সমাজ সেবার প্রবল ইচ্ছা। তিনি মনে করতেন, আইএএস অফিসার হিসাবেই তিনি দেশের জন্য সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। তাই পড়াশোনা শেষ করে তিনি আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দিন রাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। তার পরিশ্রমের ফলও তিনি পেয়েছেন। ২০১৪ সালে প্রথমবার আইএএস পরীক্ষায় বসে তিনি ৩২তম র‍্যাঙ্ক অর্জন করেন।
আইএএস হওয়ার পর পূজা খেদকরকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজস্থানের করোলি জেলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি মহারাষ্ট্রের মুম্বাই সিটি কাউন্সিলের সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি 'দ্য লস্ট হোপ: দ্য জার্নি অফ অ্যান আইএএস অফিসার' নামে একটি বইও লিখেছেন।
পূজা খেদকরের সফলতা এসেছে তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম এবং কঠোর অধ্যবসায়ের ফলে। তিনি তার কঠিন সময়েও হাল ছাড়েননি। তার সফলতা আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে। তার জীবনী থেকে আমরা শিখতে পারি যে, যদি আমাদের মধ্যে দৃঢ় সংকল্প থাকে, তাহলে আমরা যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারি।