আইপিএল ২০১৫: ক্রিকেটের বড় জগতে রিটেনশন অপশন




* রিটেনশন নিয়ম
বছরের পর বছর আইপিএল তথা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের জনপ্রিয়তা বাড়ছেই। এর সাথে সাথে ক্রিকেটের বড় জগতেও আইপিএল একটি সুপ্রতিষ্ঠিত লিগ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। এবছরও ক্রিকেটপ্রেমীদের উত্তেজনায় রাখতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চালু হয়েছে খেলোয়াড়দের রিটেন করার অপশন। এবারের আইপিএল থেকে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের দলের ক্রিকেটারদের রাখার সুযোগ পেতে চলেছে। তবে এবারেও আইপিএলের রিটেনশন নিয়ম কিন্তু আগের বারের থেকে একটু আলাদা হতে চলেছে।
* মূল্য নির্ধারিত রিটেনশন নিয়ম
আগের বছরের রিটেনশন নিয়ম অনুযায়ী, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের দলে ৩ জন ভারতীয় ও একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে রিটেন করতে পারতো। তবে এবার আর আলাদা করে কোনো ভারতীয় বা বিদেশি ক্রিকেটার রিটেন করা হবে না। এবার সকল ক্রিকেটারদের জন্যই একটি মূল্য নির্ধারিত করেছে আইপিএল। এই মূল্য অনুযায়ী ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের দলে মোট তিন জন ক্রিকেটারকে রিটেন করতে পারবে। এই তিন জনের একজন অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে।
* রিটেনশনের মূল্যবান্দ
আইপিএল কর্তৃপক্ষ রিটেনশনের ক্ষেত্রে তিনটি মূল্যবান্দ নির্ধারণ করেছে। এই তিনটি মূল্যবান্দ হল- ১৫ কোটি টাকা, ১১ কোটি টাকা ও ৭ কোটি টাকা। এই তিনটি মূল্যবান্দের মধ্যে থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের তিন জন ক্রিকেটারকে রিটেন করতে পারে। যেমন, কোনো দল যদি তাদের অধিনায়ককে ১৫ কোটি টাকা মূল্যমানে রিটেন করতে চায়, তাহলে তাদের বাকি দুইজন ক্রিকেটারকে ১১ কোটি ও ৭ কোটি টাকার মূল্যমানে রিটেন করতে হবে। অন্যদিকে, কোনো দল যদি তাদের দুইজন ক্রিকেটারকে ১১ কোটি টাকা মূল্যমানে রিটেন করে, তাহলে তাদের তৃতীয়জন ক্রিকেটারকে ৭ কোটি টাকার মূল্যমানে রিটেন করতে হবে। এককথায়, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের সেরা তিন জন ক্রিকেটারের জন্য ৩৩ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবে।
* রিটেনশন বিষয়ে ক্রিকেটারদের মতামত
রিটেনশন নিয়মের বিষয়ে মিশ্র মত রয়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। কিছু ক্রিকেটার এই নিয়মের সমর্থক হলেও কিছু ক্রিকেটারের বিরোধিতা রয়েছে এটির বিরুদ্ধে। যারা এই অপশনের সমর্থন করছেন, তাদের মতে, এই নিয়মের কারণে দলগুলি নিজেদের প্রধান খেলোয়াড়দেরকে রাখতে পারবে। এর ফলে দলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। অন্যদিকে, যারা এই নিয়মের বিরুদ্ধে, তাদের মতে, এই নিয়মের কারণে সবচেয়ে ভালো ক্রিকেটাররাও দল বদল করতে বাধ্য হতে পারে। তাদের মতে, এই নিয়মের কারণে মুক্ত বাজারে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতে পারে।