দিল্লির বাতাসের অবস্থা এতোটাই খারাপ যে একে ভয়ানক শ্রেনিতে ফেলা হয়। সেই প্রদূষিত বাতাসে প্রচুর পরিমাণে পিএম ২.৫ এবং পিএম ১০ অংশ রয়েছে যা শ্বাসযন্ত্রে প্রচুর সমস্যা তৈরি করতে পারে। দিল্লিতে পিএম ২.৫-এর ঘনত্ব প্রতি ঘন মিটারে ২৩৯ মাইক্রোগ্রাম এবং পিএম ১০-এর ঘনত্ব প্রতি ঘন মিটারে ৩৪৪ মাইক্রোগ্রাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই প্রদূষিত বাতাস শুধুমাত্র শ্বাসযন্ত্রের উপরই প্রভাব বিস্তার করে না, পাশাপাশি এটি ত্বকের সমস্যা এবং চোখের প্রদাহও ঘটায়। দিল্লির বাতাসের মান এতোটাই খারাপ যে এটি রাজধানীকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলেছে।
দিল্লির বাতাসের অবস্থা খারাপ হওয়ার পেছনে অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, দিল্লি একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর এবং এখানে প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলি প্রচুর পরিমাণে দূষণ ছাড়ে যা বাতাসকে অপরিষ্কার করে তোলে।
দ্বিতীয়ত, দিল্লি উত্তর ভারতের একটি সমভূমিতে অবস্থিত। এই সমভূমিটি পাহাড় দ্বারা ঘেরা এবং এটি বাতাসকে প্রচলনে বাধা দেয়। ফলে দূষিত বাতাস শহরে আটকে থাকে এবং বাতাসের মান আরও খারাপ করে তোলে।
তৃতীয়ত, দিল্লি শীতকালে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা দেখা যায়। এই কুয়াশা দূষিত বাতাসকে আটকে রাখে এবং বাতাসের অবস্থা আরও খারাপ করে তোলে।
দিল্লির বাতাসের খারাপ মানের স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। প্রদূষিত বাতাস শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন অ্যাস্থমা, ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়।
প্রদূষিত বাতাস শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর বিশেষত প্রভাব ফেলে। প্রদূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে সমস্যা এবং আচরণগত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।