আক্ষয় শিন্ডে কিভাবে আত্মহত্যা করলেন?




জানুয়ারী মাসের শুরুর দিকে মুম্বাইয়ের বদলাপুরের একটি সরকারি স্কুলে দুটি ছোট্ট মেয়ের গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, প্রধান আসামী আক্ষয় শিন্ডে শুক্রবার বিকেলে থানে পুলিশের দুই কনস্টেবলের সামনে থেকে পালানোর সময় আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশের দাবি

পুলিশের দাবি, আক্ষয়কে যখন তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার জন্য আসে, তখন সে তাদের উপর আক্রমণ করে। আক্ষয় তাদের হাত থেকে একটি হাতকড়া ছিনিয়ে নেয় এবং এক পুলিশ কনস্টেবলের সার্ভিস রিভলভার নিয়ে পালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু সেই সময় পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।

  • আক্ষয় শিন্ডের মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর তার পরিবার পুলিশের দাবি অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছেন, আক্ষয় খুব ভয়ঙ্কর ছিল এবং সে কখনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারে না।
  • পুলিশের এই ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতকড়া এবং একটি খালি বুলেট সাময়িকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন

এই ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। যেমন,

  • আক্ষয় কি সত্যিই পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছিল?
  • পুলিশের গুলি চালানোর আগে তারা অন্য কোন উপায় অবলম্বন করতে পারত কি না?
  • ঘটনার সময় পুলিশের অন্য কোন কনস্টেবল বা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিল কি না?

এই প্রশ্নগুলির উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আক্ষয় শিন্ডের মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যেই ডুবে থাকবে।

আক্ষয়ের পরিবারের অভিযোগ

আক্ষয়ের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তারা তাকে হত্যা করেছে। তারা দাবি করেছেন, আক্ষয় খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল এবং সে কখনো কারো সঙ্গে ঝগড়া করত না।

  • পরিবারের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
  • কমিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কনস্টেবলদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত প্রমাণ পরীক্ষা করবে।

এই ঘটনাটি বদলাপুরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা দাবি করছেন, অপরাধীদের গ্রেফতার করার নামে পুলিশ নির্দোষ মানুষকে হত্যা করছে।

আমাদের দাবী

আমরা দাবি করছি যে এই ঘটনাটির স্বচ্ছ তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই যে তারা পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার আনুক যাতে এই ধরনের ঘটনা আবার না ঘটে।