আজকের তরুণরা অতীতের তরুণদের চেয়ে অনেক বেশি চাপে রয়েছে




আজকের তরুণরা অনেক বেশি চাপে রয়েছে, এমনকি অতীতের তরুণদের চেয়েও। এটা নিয়ে অনেক কথাই শোনা যায়, কিন্তু এটি সত্যি কি না? আসুন দেখে নেওয়া যাক কিছু পরিসংখ্যান।

  • চাপ অনুভব করে: ১৯৮৫ সালে, মাত্র ২৮% তরুণরা বলেছিল যে তারা একটি টন চাপ অনুভব করেছিল। ২০১৮ সাল নাগাদ এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫%।
  • নিদ্রাহীনতা: ১৯৯১ সালে, মাত্র ১২% তরুণরা রিপোর্ট করেছিল যে তারা রাতে ঘুমের জন্য সংগ্রাম করেছিল। ২০১৭ সাল নাগাদ এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭%।
  • উদ্বেগ: ১৯৯৩ সালে, মাত্র ৫% তরুণরা বলেছিল যে তারা দুশ্চিন্তায় ভুগছে। ২০১৭ সাল নাগাদ এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১%।

এই পরিসংখ্যানগুলি স্পষ্টভাবে দেখায় যে আজকের তরুণরা অতীতের তরুণদের চেয়ে অনেক বেশি চাপে রয়েছে। কিন্তু কেন? কিছু কারণ রয়েছে:

  • সোশ্যাল মিডিয়া: সোশ্যাল মিডিয়া তরুণদের জীবনে একটি বড় ভূমিকা পালন করে এবং এটি একটি বড় চাপের উৎস হতে পারে। এর মাধ্যমে তরুণরা নিজেদের অন্যদের সাথে তুলনা করতে এবং তাদের নিজের জীবন অন্যদের জীবনের চেয়ে কতটা খারাপ তা দেখতে পারে।
  • শিক্ষা: আজকের তরুণদের শিক্ষার অনেক বেশি চাপ রয়েছে। তাদের ভালো গ্রেড পেতে, ভালো কলেজে ঢুকতে এবং ভালো চাকরি পেতে অনেক চাপ আছে।
  • বাবা-মা: আজকের বাবা-মা তাদের সন্তানদের প্রতি অনেক বেশি চাপ দিয়ে থাকেন। তারা চান তাদের সন্তানরা সর্বদা তাদের সেরাটা দিক এবং তারা যা কিছু করুক না কেন তাতে সফল হোক। এটি তরুণদের উপর অনেক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
  • অর্থনীতি: অর্থনীতিও আজকের তরুণদের জন্য চাপের একটি বড় উৎস। অনেক তরুণ এমন একটি স্থানে বেড়ে উঠছে যেখানে আর্থিক নিরাপত্তা পাওয়া কঠিন। এটি তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে উদ্বিগ্ন এবং চাপগ্রস্ত করে তুলতে পারে।

আজকের তরুণরা অতীতের তরুণদের চেয়ে অনেক বেশি চাপে রয়েছে। এমন অনেক কারণ রয়েছে যা এই চাপের কারণ হতে পারে, তবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে তরুণরা এই চাপের সাথে একা নয়। এমন অনেক সংস্থা রয়েছে যা তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার সাথে সহায়তা করতে পারে।

আপনি যদি একজন তরুণ হন এবং চাপ অনুভব করছেন তবে সাহায্যের জন্য জিজ্ঞাসা করুন। আপনি একা নন এবং আপনাকে এই চাপের মোকাবেলা করতে সাহায্যের পাওয়ার অধিকার রয়েছে।