আজকাল : শুধু বাংলাদেশ নয়, বাদ পড়েছে আফ্রিকার দেশও




গ্রাহকের অভাবে লোকসান দিয়েও চালাচ্ছে ট্রেন

আকস্মিক করোনা আসার পরের দিনই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের শুরু৷ সেই সময় করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে রেস্তোরাঁ ব্যবসা। তবে লকডাউন শেষ হলেও এখনো চাঙ্গা হতে পারেনি রেস্তোরাঁ শিল্প৷ বিশেষ করে বাংলাদেশে কোভিডের পরে রেস্তোরাঁ শিল্পের অবস্থা শোচনীয়৷ এলোমেলো হয়েছে ব্যবসা।

এমন অবস্থার মধ্যে রেস্তোরাঁ শিল্পকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সরকার কয়েকটি পদক্ষেপও নিয়েছিল। সেই সঙ্গে কয়েকটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়৷ এমনকি করোনায় রেস্তোরাঁ শিল্প বাজে অবস্থায় থাকায় সেই সময় ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্তও নেন অনেক রেস্তোরাঁ শিল্পী।

বর্তমানে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমলেও রেস্তোরাঁ শিল্পের অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি রেস্তোরাঁ শিল্প। তবে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ জনবল অভাবে সীমিত আকারে চলছে রেস্তোরাঁ ব্যবসা। পুরনো কর্মচারী অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছেন। যার কারণে কর্মচারী ঘাটতি রয়েছে।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে করোনা আসার পর হোটেল ব্যবসাও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর এখনো পর্যন্ত হোটেল ব্যবসাও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ইতোমধ্যেই অনেক হোটেল লোকসানের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবেই আংশিক বন্ধ রয়েছে৷ তবে আশার কথা হলো, দেশে করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে।

এদিকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে পড়াশোনা ও চিকিৎসার জন্য অনেকে বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু সেই আফ্রিকান শিক্ষার্থীরাও আগের মতো আর আসছেন না৷ আর এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে হোটেল ব্যবসা। কারণ ওই সব আফ্রিকান শিক্ষার্থীরা এখানে এসে হোটেলে থাকতেন৷ এখন অনেক হোটেল দিনের পর দিন লোকসানের মধ্যে চলছে।

এরই মধ্যে করোনায় অবসন্ন হয়ে পড়া ট্যুরিজম খাত এখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি৷ আগের মতো আর পর্যটকরা ভ্রমণে আসছেন না। ফলে অনেক ট্যুরিস্ট স্পট এখন প্রায় ফাঁকা। যার কারণে বেকার হয়ে পড়েছে ট্যুরিস্ট গাইডসহ স্থানীয়রা। তাদের কাজ হারানোর পাশাপাশি হোটেল ব্যবসাও লোকসানের মধ্যে রয়েছে৷

বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের হোটেল ব্যবসা। করোনায় লোকসানের মধ্যে পড়ার পর এখন আর মুখ তুলে দাঁড়াতে পারছে না হোটেল ব্যবসা। হোটেল ব্যবসায়ীরা কিছু ভর্তুকি দাবি করেছেন সরকারের কাছে। তবে সরকার এখনো সে রকম কোনো শর্ত দেননি৷

এমন অবস্থায় অনেক হোটেল ব্যবসায়ী হোটেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেক হোটেল ভাড়াও দিতে পারছেন না। আর আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের না আসায় হোটেল ব্যবসায়ীরা যে আশা করেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। ফলে সব মিলিয়ে ডুবন্ত নৌকার মতো অবস্থা হয়েছে হোটেল ব্যবসার।

হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আফ্রিকার দেশগুলো থেকে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীরা আর আসছেন না৷ আর এতে বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।

একজন হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, করোনায় তাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এখন আফ্রিকান শিক্ষার্থীরা না আসায় তাদের লোকসান আরো বেড়েছে। তারা আগের মতো আর ব্যবসা চালাতে পারছেন না।

তিনি আরো বলেন, হোটেল ভাড়া দিতেও ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। এতে করে হোটেল ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। সব মিলিয়ে আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের না আসায় হোটেল ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক সঙ্কটে রয়েছেন।

  • সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজেও চাঙ্গা হয়নি রেস্তোরাঁ শিল্প
  • কর্মচারী ঘাটতি এবং দক্ষ জনবল না পাওয়ায় সীমিত আকারে চলছে রেস্তোরাঁ ব্যবসা
  • পর্যটকদের আনাগোনা কমে যাওয়ায় হোটেল ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে
  • আফ্রিকার দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা না আসায় আরো বেড়েছে হোটেল ব্যবসার লোকসান
  • অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে অনেক হোটেল ব্যবসায়ী হোটেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন

আপনি এই খবরটি পড়তে পারেন এখানে:
https://www.deshrupantor.com/economy/article/517318/আজকাল-শুধ