আজাদ দিবস সবসময়ই আমাদের মনে উদয় হয় মিষ্টি স্মৃতির হাসিমাখা প্রতিচ্ছবি দিয়ে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেমজাগানিয়া গানের আওয়াজ, থাকা হরেক রকম খেলনা আর খাবারের স্টল, এবং অবশ্যই মিষ্টি বানানোর প্রতিযোগিতা! এই সমস্ত কিছুই আজাদ দিবসের আবেগকে আরও প্রখর করে তোলে।
যখন আমরা স্কুলপড়ুয়া ছিলাম, তখন আজাদ দিবস ছিল আমাদের বছরের সবচেয়ে প্রিয় দিনগুলির মধ্যে একটি। আমরা রঙিন কাগজ দিয়ে পতাকা বানাতাম, বিভিন্ন সংস্কৃতির নাচ নিয়ে অনুষ্ঠান করতাম, এবং অবশ্যই ওই গল্পকথার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম যেখানে ভারতের ইতিহাস এবং সংগ্রাম নিয়ে বলা হতো।
আজাদ দিবস ছিল আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় মিলনমেলার দিন। আমার চাচা-চাচী, দাদা-দাদীরা দূর-দূরান্ত থেকে আসতেন। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে দেশের স্বাধীনতার কথা শুনতাম, তাদের সংগ্রামের গল্প শুনতাম, এবং তাদের সাহসে উৎসাহিত হতাম।
আজাদ দিবস আমাদের সকলকে আমাদের দেশের প্রতি গর্ব এবং কৃতজ্ঞতা অনুভব করার স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং ত্যাগই আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমাদের এই স্বাধীনতাকে সর্বদা মূল্য দিতে হবে এবং আমাদের দেশকে একটি আরও ভাল জায়গা বানানোর জন্য কাজ করতে হবে।
আজাদ দিবস হল একসঙ্গে আনন্দ করার এবং আমাদের দেশের স্বাধীনতা উদযাপন করার একটি দিন। এই দিনটি আমাদের সকলকে একত্র করার জন্য সহায়তা করে এবং আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা একটি জাতি হিসাবে কতটা শক্তিশালী একসঙ্গে। এই দিনে আমরা বিভেদ ভুলে যাই এবং আমাদের দেশের প্রতি আমাদের ভালবাসা উদযাপন করি।