আতিশি: এক বিপ্লবের গল্প যার নিয়তি নিয়ে ছিল সমালোচনার জল্পনা
আতিশি মারলেনাকে আপনি হয়তো চেনেন না। কিন্তু দিল্লির সরকারি স্কুলের শিক্ষার দুরবস্থাকে ঘিরে তিনি যে বিপ্লব চালিয়েছেন, তা আপনাকে জানা উচিত।
আতিশি একজন মহিলা যিনি ক্যামব্রিজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি করেছেন। তিনি একজন রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষকও। তিনি 2015 সালে দিল্লি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। তার মূল লক্ষ্য ছিল রাজধানীর জরাজীর্ণ সরকারি স্কুলগুলির দুরবস্থা উন্নত করা।
প্রথমত, আতিশি স্কুলের অবকাঠামোতে মনোনিবেশ করেন। তিনি শ্রেণিকক্ষগুলির সংস্কার করেন, নতুন আসবাবপত্র সংযুক্ত করেন এবং আধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরি করেন। তিনি এমনকি শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ कार्यक्रमও শুরু করেন।
অবকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি আতিশি শিক্ষার মান উন্নত করার চেষ্টা করেন। তিনি শিক্ষাক্রম সংস্কার করেন, নতুন শিক্ষণ পদ্ধতি চালু করেন এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার নতুন উপায় তৈরি করেন।
আতিশির সংস্কারের ফলাফল অসাধারণ ছিল। দিল্লির সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। স্কুলগুলি এখন আরও পরিষ্কার এবং নিরাপদ এবং শিক্ষকরা আরও দক্ষ। শিক্ষার্থীরা এখন আগের চেয়ে আরও ভালো করছে এবং তারা আরও আত্মবিশ্বাসী বোধ করছে।
আতিশির সাফল্যের জন্য তাকে ব্যাপকভাবে প্রশংসা করা হয়েছে। তাকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এবং তাকে সারা বিশ্বে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি সমালোচনা থেকেও বেঁচে যাননি।
কিছু সমালোচক যুক্তি দিয়েছেন যে আতিশির সংস্কার খুব ব্যয়বহুল এবং তা স্কুলের মান উন্নত করার জন্য যথেষ্ট করা হয়নি। অন্যরা বলেছেন যে তারা খুব দ্রুত চালু করা হয়েছে এবং তা পরিবর্তনের জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট সময় দেয়নি।
সমালোচনার মুখেও আতিশি তার সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি সঠিক কাজ করছেন এবং দিল্লির সরকারী স্কুলগুলির শিক্ষার মান উন্নত করা সম্ভব।
আতিশির গল্প হল তার জন্য প্রতিদিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এক অনুপ্রেরণাদায়ী গল্প। এটা ভালো কাজ করার গল্প এবং নেতিবাচকতার মুখেও স্থির থাকার গল্প। এটা এমন একটি গল্প যা আমাদের সবাইকে একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য আশা দেয়।