আদিত্য শ্রীবাস্তবের ইউপিএসসি রূপকথার গল্প




আদিত্য শ্রীবাস্তব একজন সাধারণ ছাত্র ছিলেন যিনি এখন একজন প্রখ্যাত আইএএস অফিসার। বিহারের ছোট্ট শহর মুজাফফরপুরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা আদিত্যের ইউপিএসসি যাত্রা ছিল চ্যালেঞ্জ এবং উদ্যমের এক রোমাঞ্চকর মিশ্রণ।

একদিন, আদিত্য সংবাদপত্রে ইউপিএসসি পরীক্ষার একটি বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন। সে মুহুর্তে, তিনি কিছুটা উৎসাহিত হয়েছিলেন কিন্তু একই সাথে চিন্তিতও হয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে পরীক্ষাটি কঠিন ছিল এবং তিনি একটি ছোট শহর থেকে এসেছেন যেখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির সুযোগ খুব কম।

যাইহোক, আদিত্য হাল ছাড়েননি। তিনি স্থানীয় লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়া শুরু করলেন এবং অনলাইন কোর্সে ভর্তি হলেন। তিনি রাত জেগে পড়াশোনা করতেন এবং প্রতিদিন মক টেস্ট দিতেন। তিনি অন্য প্রার্থীদের একটি গ্রুপ তৈরি করেছিলেন এবং একসাথে আলোচনা করতেন।

আদিত্যর কঠোর পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত ফল দেয়। তিনি ইউপিএসসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং মূল পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন। মূল পরীক্ষা আরও কঠিন ছিল, কিন্তু আদিত্য তার দৃঢ় সংকল্প আর হারাননি। তিনি দিনরাত এক করে পড়াশোনা করেন এবং অবশেষে তিনি মূল পরীক্ষাও উত্তীর্ণ হন।

চূড়ান্ত পরীক্ষায়, আদিত্য সাক্ষাৎকার প্যানেলে তার জ্ঞান এবং আত্মবিশ্বাস দ্বারা তাদের মুগ্ধ করেছিলেন। তিনি তার স্বপ্নের পদটি পেয়েছিলেন এবং একজন আইএএস অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হন।

আদিত্যর ইউপিএসসি যাত্রা একটি অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প। এটি প্রমাণ করে যে, প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মুখেও, নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে কিছুই অসম্ভব নয়। আদিত্য তার সাফল্যের কৃতিত্ব তার পরিবার, বন্ধু এবং শিক্ষকদের দেন যারা তাকে সবসময় সমর্থন করে আসছেন।

আজ, আদিত্য শ্রীবাস্তব একজন সফল আইএএস অফিসার হিসেবে দেশ সেবা করছেন। তিনি তার প্রত্যেক দিনকে সৎ এবং সততার সাথে কাজ করার মাধ্যমে জাতির উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য কাজ করছেন। তিনি ভারতের যুবকদের একটি উদাহরণ, যা তাদের প্রমাণ করে যে, দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি এবং অবিচলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, তারা তাদের স夢想 পূরণ করতে পারে।