আন্তর্জাতিক সুখ দিবস




নিজের সুখের খোঁজে মানুষ সব সময় ব্যস্ত। কিন্তু সুখ আসলে কী? এটা কি টাকাতে পাওয়া যায়? না, পাওয়া যায় না। সুখ আসলে খুব কাছাকাছিই আছে। শুধু খুঁজে বের করার তাগিদটা থাকতে হবে।
সুখের ধারণাটা বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভিন্ন রকম। কারো কাছে হয়তো সুখ হলো প্রিয় মানুষদের পাশে পাওয়া, কারো কাছে হয়তো সুখ হলো প্রিয় কাজটা করা, আবার কারো কাছে হয়তো সুখ হলো সফলতা অর্জন করা।
যাই হোক, সুখ যে রূপেই আসুক না কেন, তা আমাদের জীবনে অপরিহার্য। সুখী মানুষ সুস্থ থাকে, দীর্ঘজীবন লাভ করে এবং আরোও সফল হয়। তাই সুখী হওয়ার চেষ্টা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হলো সারা বিশ্বে সুখকে উদযাপন করার একটি দিন। এই দিনটি প্রতি বছর ২০ মার্চ পালিত হয়। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সুখের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের সুখী জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করা।
আপনি কিভাবে আন্তর্জাতিক সুখ দিবসটি উদযাপন করবেন? এটা এমন একটি প্রশ্ন যার উত্তর আপনি শুধু নিজেই দিতে পারেন। আপনি যা পছন্দ করেন সেটাই করুন। হয়তো আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটাবেন, আপনার পছন্দের কাজটা করবেন, বা কিছু নতুন চেষ্টা করবেন। যাই হোক, নিশ্চিত করুন যে আপনি এমন কিছু করছেন যা আপনাকে সুখী করে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস ঘোষণা করে। এই দিনটির লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বে সুখ এবং সুস্থতাকে প্রচার করা।
আপনি কি জানেন যে সুখকে প্রভাবিত করার জন্য অনেকগুলি বিভিন্ন উপাদান রয়েছে? এই উপাদানগুলির মধ্যে কিছু জিনগত, অন্যগুলি পরিবেশগত এবং অন্যগুলি আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে।
এই উপাদানগুলির মধ্যে একটি হলো আমাদের সম্পর্ক। সুখী সম্পর্ক থাকা মানুষ আরও সুখী থাকে। এটি এমন হওয়ার একটি কারণ হল যে সুখী সম্পর্ক আমাদের ভালোবাসা, সমর্থন এবং সুরক্ষার অনুভূতি দেয়।
আমাদের অর্থ এবং সুখের মধ্যেও একটি সম্পর্ক আছে। যদিও অর্থ সুখ কিনতে পারে না, তবে এটি জীবনের কিছু মৌলিক জিনিস সরবরাহ করতে পারে যা সুখের জন্য প্রয়োজনীয়, যেমন খাদ্য, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্যসেবা।
আমাদের স্বাস্থ্যও আমাদের সুখের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যখন আমরা সুস্থ থাকি, তখন আমরা আরো শক্তিশালী এবং আরো কার্যকরী হই। এটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিকে আরো সফল হতে পারে, যা সুখের অনুভূতি আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আমাদের সুখের উপর আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এমন উপাদানগুলির মধ্যে একটি হলো আমাদের মনোভাব। একটি ইতিবাচক মনোভাব সুখের অনুভূতি আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি এমন হওয়ার একটি কারণ হল যে একটি ইতিবাচক মনোভাব আমাদের জীবনের ভালো দিকগুলিতে মনোযোগ দিতে সাহায্য করে।
আমাদের সুখের উপর আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এমন আরেকটি উপাদান হলো আমাদের কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করলে সুখের অনুভূতি আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি এমন হওয়ার একটি কারণ হল যে কৃতজ্ঞতা আমাদের জীবনের ভালো দিকগুলিতে মনোযোগ দিতে সাহায্য করে।
সুখ কী তা জানার জন্য কোন সহজ উত্তর নেই। তবে, এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলি করা আমাদের আরো সুখী করতে পারে। এই কাজগুলির মধ্যে কিছু হলো, আমাদের সম্পর্কের উপর মনোযোগ দেওয়া, আমাদের কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করা এবং একটি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা।
তাই, এবার যখন আপনি সুখের খোঁজে বের হবেন, তখন মনে রাখবেন যে এটি খুব কাছাকাছিই আছে। আপনাকে শুধু খুঁজে বের করার তাগিদটা থাকতে হবে।