তুমি কি কখনও একা ঘরের মধ্যে আটকে পড়ার কথা ভেবেছ, যেখানে তুমি কিছুই দেখতে পাচ্ছ না? চারপাশে শুধু অন্ধকার, তুমি কী করবে? কীভাবে বাঁচবে?
এই প্রশ্নটিই হল প্রতিভাবান পরিচালক প্রীতম গুহঠাকুর্তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র "আন্ধাগন"-এর প্রধান বিষয়বস্তু। অপ্রত্যাশিত ঘটনায় অন্ধ হয়ে যাওয়া একটি দম্পতির জীবনের গল্প।
চলচ্চিত্রটির শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, একটি দম্পতি একটি পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে। সবকিছু ভালোই যাচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ একটি পাথর গাড়ির উইন্ডশীল্ডে আঘাত করে এবং এটি ভেঙে যায়। পাথরের টুকরো দম্পতির চোখে আঘাত করে, ফলে তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে।
এটি হল চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট। দম্পতির জীবন বদলে যায় এক নিমেষে। তারা তাদের বাড়িতে আটকে পড়ে, ভয় এবং অনিশ্চয়তার সাথে যুদ্ধ করতে থাকে।
চলচ্চিত্রটিতে সুরজিত ঘোষ এবং অন্তরা সেনের অভিনয় দুর্দান্ত। তারা দম্পতির ভূমিকায় অসম্ভব অভিনয় করেছেন, যারা তাদের দৃষ্টিশক্তি হারালে কীভাবে সংগ্রাম করে এবং মানিয়ে নেয় তা দেখিয়েছে।
ফিল্মটির গল্প দুর্দান্ত এবং ইমোশনাল। এটি দর্শকদের গভীরভাবে ছুঁয়ে যাবে এবং তাদের ভাবতে বাধ্য করবে যে যদি তাদের এমনই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় তবে তারা কী করবে।
চিত্তাকর্ষক দিক:কয়েকটি ছোটখাটো সমস্যা সত্ত্বেও, "আন্ধাগন" একটি চিত্তাকর্ষক এবং ভাবনার খোরাক জোগানো চলচ্চিত্র। এটি দর্শকদের এমন একটি দুনিয়ায় নিয়ে যায়, যেখানে অন্ধকার চোখের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হতে পারে।
আপনার জন্য এই চলচ্চিত্রটি সুপারিশ করা হচ্ছে যদি:আপনি যদি "আন্ধাগন" দেখেননি, তাহলে এটি অবশ্যই দেখবেন। এটি একটি চিন্তায় রাখবে এমন এবং ইনস্পায়ার করবে এমন চলচ্চিত্র যা আপনার মনে দীর্ঘদিন থাকবে।