আন্ধ্র প্রদেশ
আন্ধ্র প্রদেশ দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্য। এটা দেশের অষ্টম বৃহত্তম রাজ্য এবং জনসংখ্যার দিক থেকে পঞ্চম বৃহত্তম। রাজ্যের রাজধানী অমরাবতী।
আন্ধ্র প্রদেশের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। এই অঞ্চলটির উল্লেখ রামায়ণ ও মহাভারতের মতো প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্যে পাওয়া যায়। আন্ধ্র প্রদেশ বিভিন্ন রাজবংশের দ্বারা শাসিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সাধারন, চালুক্য, রাষ্ট্রকূট এবং কাকতীয়।
১৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে, বিজয়নগর সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আন্ধ্র প্রদেশ এই সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের পতনের পর, আন্ধ্র প্রদেশ বিভিন্ন স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায়।
১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অঞ্চলটি দখল করে। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভাষা ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন আইনের পরে, আন্ধ্র প্রদেশ একটি পৃথক রাজ্যে পরিণত হয়।
আন্ধ্র প্রদেশ একটি কৃষি প্রধান রাজ্য। রাজ্যের প্রধান ফসল হ'ল চাল, শসা, তুলা এবং তামাক। রাজ্যের খনিজ সম্পদে লোহা, ম্যাঙ্গানিজ এবং অভ্রক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আন্ধ্র প্রদেশ একটি জনবহুল রাজ্য। রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ৫০ মিলিয়ন। রাজ্যের প্রধান ধর্ম হ'ল হিন্দুধর্ম। অন্যান্য ধর্মগুলির মধ্যে রয়েছে ইসলাম, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ ধর্ম।
আন্ধ্র প্রদেশ একটি সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ রাজ্য। রাজ্যের নিজস্ব অনন্য সংস্কৃতি রয়েছে। রাজ্যের সংস্কৃতি প্রভাবিত হয়েছে বিভিন্ন রাজবংশের যারা এই অঞ্চলটি শাসন করেছেন।
আন্ধ্র প্রদেশে অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে। রাজ্যের কিছু সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে ভিরেসোরা মন্দির, লেপাক্ষি মন্দির এবং বেজওয়াড়া ক্যানাল।
আন্ধ্র প্রদেশ একটি অর্থনৈতিকভাবে বর্ধনশীল রাজ্য। রাজ্যের অর্থনীতি কৃষি, শিল্প এবং পর্যটন কেন্দ্রিক। রাজ্যের কিছু প্রধান শিল্পে রয়েছে রাসায়নিক, কার এবং দূরদর্শন।