আনন্দে হারাবো, অপেক্ষা করো না আর
আনন্দ চতুর্দশী, এই দিনটিকে বলিদান এবং উদযাপনের সমন্বয় বলা যেতে পারে। তবে সবকিছুরই শেষ যেমন রয়েছে, তেমনি পাঁচ দিনব্যাপী গণেশ চতুর্থীর উৎসবেরও একটি শেষ আছে এবং এটি আনন্দ চতুর্দশীর দিনে ঘটে।
গণেশ চতুর্থীতে, ভক্তরা তাদের বাড়িতে বা জনসমাবেশে গণেশ মূর্তি স্থাপন করে এবং পাঁচ দিন ধরে পূজা করেন। উৎসবের শেষ দিনটিকে আনন্দ চতুর্দশী বলা হয় এবং এটি গণেশ বিসর্জন দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়।
ভক্তরা তাদের গণেশ মূর্তিকে নদী বা সমুদ্রে নিmer্জ্জন করেন, যা একটি রীতিগতভাবে গণেশের পার্থিব যাত্রার শেষকে চিহ্নিত করে। এই আচারটিকে 'বিসর্জন' বলা হয় এবং এটি মূর্তিকে জলে নিmer্জ্জন করার মাধ্যমে করা হয়। এই রীতিটি এই বিশ্বাসকে নির্দেশ করে যে গণেশ গঙ্গা নদীতে ফিরে আসেন যেখান থেকে তিনি এসেছিলেন।
আনন্দ চতুর্দশীর উৎসব শাড়ি, লেহেঙ্গা এবং কুর্তা-পাজামার মতো রঙিন পোশাক পরা ভক্তদের দ্বারা ভরা। আনন্দের পরিবেশ বিভিন্ন আনন্দদায়ক কার্যক্রমে উদযাপিত হয়, যেমন নাচ, গান এবং মেলার মতো সামাজিক ঘটনা।
আনন্দ চতুর্দশী হল একটি সমৃদ্ধ এবং বর্ণাঢ্য উৎসব যা ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই দিনটি হিন্দুদের জন্য তাদের আধ্যাত্মিকতা এবং তাদের প্রিয় দেবতার প্রতি ভালবাসাকে পুনর্ব্যক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।