আব্দুল হাফিজ সঈদ একজন পাকিস্তানি ইসলামী ধর্মযাজক এবং লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) উগ্রপন্থী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা।
হাফিজ সঈদ 1950 সালের ২ জুলাই পাকিস্তানের ঝাং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুরীদকে শরীফের একটি মাদ্রাসায় ইসলামী দেওবন্দী ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন। স্নাতক শেষ করার পরে, তিনি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন।
1990 সালে, সঈদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এটি একটি কল্যাণ সংস্থা ছিল, কিন্তু পরে এটি ভারতে জিহাদ চালানোর জন্য একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়।
2008 সালের ২৬ নভেম্বর, সঈদের এলইটি সন্ত্রাসীরা মুম্বাইয়ের একটি শহরতলির রেল স্টেশন এবং বিলাসবহুল হোটেলগুলিকে লক্ষ্য করে একটি সন্ত্রাসী আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে 166 জন নিহত এবং 300 জনেরও বেশি আহত হন।
মুম্বাই আক্রমণের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সঈদের উপর 10 মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করে তাকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় ধরে দেওয়ার জন্য।
2019 সালে, সঈদকে সন্ত্রাসী অর্থায়ন এবং ভারতে সন্ত্রাসী হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি হাই সিকিউরিটি জেলে কারাবন্দ রয়েছেন।
সঈদ বিতর্ক এবং সমালোচনার একটি বিষয়, অনেকে তার সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সম্পর্কের জন্য তাকে অভিযুক্ত করেন। তার সমর্থকরা তাকে একজন ধর্মীয় পণ্ডিত এবং সামাজিক কর্মী হিসাবে দেখেন যিনি মুসলমানদের স্বার্থের জন্য দাঁড়িয়েছেন।
জেলে থাকার সত্ত্বেও সঈদ পাকিস্তানে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। তার সমর্থকদের একটি বড় অনুসরণ রয়েছে এবং তিনি প্রায়ই ইসলামী চরমপন্থার একটি প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তার ভবিষ্যত অনিশ্চিত রয়ে গেছে, তবে তিনি আগামী বছরগুলিতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসवादের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হতে থাকবেন।
হাফিজ সঈদ একটি জটিল এবং বিতর্কিত চরিত্র। তিনি একজন সন্ত্রাসী নেতা যিনি হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী, কিন্তু তিনি একজন দাতব্য কর্মীও যিনি দরিদ্র এবং প্রান্তিকদের সাহায্যের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার উত্তরাধিকার আগামী বছরগুলিতে তর্ক এবং বিতর্কের বিষয় হতে থাকবে।