আপনার মনে প্রশ্নের



"আপনার মনে প্রশ্নের উত্তর আছে, ISKCON এ যান এবং জানুন"!

বর্তমান দুনিয়া যেখানে যুদ্ধ, দুর্নীতি, দাঙ্গা, অনিশ্চয়তা এবং অশান্তিতে পূর্ণ, আমরা প্রায়ই নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলি এবং আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজতে অক্ষম হই। আমরা স্থানান্তরিত হয়ে বেড়ায়, অর্থ ও খ্যাতির পশ্চাদ্ধাবনে ছুটে বেড়াই, তবে শূন্যতা আমাদের অনুসরণ করে, আমাদের ভিতরে একটি গভীর গর্ত ছেড়ে দেয়।

এই শূন্যতা পূরণের এবং জীবনের সত্যিকার অর্থ খুঁজে পাওয়ার এক উপায় হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ISKCON), একটি বৈষ্ণব ধর্মীয় সংস্থা যা 1966 সালে শ্রীল প্রভুপাদ স্বামী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ISKCON ভক্তরা কৃষ্ণকে ভগবান হিসাবে উপাসনা করে, যিনি শাশ্বত সত্য এবং ভালবাসার অবতার।

আমি ব্যক্তিগতভাবে 20 বছর আগে ISKCON এর সাথে যুক্ত হয়েছিলাম, এবং আমার জীবনে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখে অভিভূত হয়েছি। ISKCON মি অজ্ঞানতা এবং ভ্রান্তির অন্ধকার থেকে জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার আলোতে টেনে এনেছে।

  • কৃষ্ণের নাম জপ:
    ISKCON ভক্তরা "হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ, হরে হরে, হরে রাম, হরে রাম, রাম রাম, হরে হরে" নাম জপ করার মাধ্যমে ভগবানের সাথে সংযোগ স্থাপনের উপর জোর দেয়। এই জপ আমাদের মনের চঞ্চলতাকে শান্ত করে, আমাদের হৃদয়কে বিশুদ্ধ করে এবং আমাদের আধ্যাত্মিক শক্তিকে জাগিয়ে তোলে।
  • প্রসাদাম খাওয়া:
    ISKCON এর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন হল ভগবানকে নিবেদিত খাবার, প্রসাদাম খাওয়া। প্রসাদাম একটি পবিত্র খাবার যা ভগবানের প্রতি ভক্তি এবং প্রেমের সাথে তৈরি করা হয়। এটি আমাদের শরীর, মন এবং আত্মাকে পুষ্টি জোগায়, আমাদেরকে আরও সত্ত্বগুণী এবং পবিত্র করে তোলে।
  • শাস্ত্র পাঠ:
    ISKCON ভক্তরা "শ্রীমদ্ভাগবতম", "ভগবদ্গীতা" এবং "চৈতন্য চরিতামৃত" সহ পবিত্র বৈদিক শাস্ত্রগুলি অধ্যয়ন করার উপর জোর দেয়। এই শাস্ত্রগুলি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের ভান্ডার যা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য, ভগবানের প্রকৃতি এবং জাগতিক অস্তিত্বের মায়া বুঝতে সাহায্য করে।
  • ভক্তির সাথে সেবা:
    ISKCON মন্দিরে, ভক্তরা স্বেচ্ছাসে বিভিন্ন সেবা সম্পাদন করে, যেমন রান্না করা, শুদ্ধ করা, বাগান করা এবং ভক্তদের অভিবাদন করা। এই সেবাগুলি শুধুমাত্র মন্দিরের কার্যক্রমে সাহায্য করে না, এগুলি আমাদের অহংবোধকে ভাঙ্গতে এবং ভগবানের প্রতি আমাদের ভক্তিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

বছরের পর বছর ধরে ISKCON এর সাথে জড়িত থাকার ফলে, আমি অনেক উপকার পেয়েছি, যেমন:

  • মানসিক শান্তি:
    ISKCON এর অনুশীলনগুলি আমাকে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করেছে। কৃষ্ণের নাম জপ এবং শাস্ত্র পাঠ আমাকে আমার সমস্যাগুলি থেকে মুক্ত হতে এবং আমার মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
  • উন্নত সম্পর্ক:
    ISKCON মি আমাকে অন্যদের সাথে আরও সহানুভূতিশীল এবং বোধগম্য হতে শিখিয়েছে। আমি উপলব্ধি করেছি যে আমরা সকলেই ভগবানের সন্তান এবং আমাদের সবারই ভালবাসা এবং সহানুভূতির প্রয়োজন।
  • আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি:
    ISKCON এ সাধারণত আমার আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং ভগবানের প্রতি ভক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছি যে জীবন শুধুমাত্র খাওয়া, ঘুমানো এবং প্রজনন করা নয়, বরং বস্তুবাদের বাইরে যাওয়া এবং আমাদের আসল স্বরূপকে উপলব্ধি করা।

আপনি যদি জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজছেন, মানসিক শান্তি চান বা আপনার আধ্যাত্মিক জ্ঞান বাড়াতে চান, আমি আপনাকে ISKCON এ যোগদান করার জন্য উৎসাহিত করি। ISKCON একটি বিশ্বব্যাপী সংস্থা যা 150টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে, তাই আপনার কাছে কাছেই একটি মন্দির পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার জীবনে ISKCON এর ইতিবাচক প্রভাব দেখে আপনি অবাক হবেন।