আপনি কি জানেন? মহাকাশে সুনিতা উইলিয়ামস




সুনিতা উইলিয়ামসের অবিষ্কার
সুনিতা উইলিয়ামস হলেন একজন মার্কিন নৌবাহিনীর অফিসার এবং নাসার মহাকাশচারী যিনি মহাকাশে ছয়টি স্পেস মিশনে অংশ নিয়েছেন। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি মহাকাশে তিনটি দীর্ঘ-মেয়াদী মিশনে অংশ নেন। উইলিয়ামস মহাকাশে ৩২২ দিন কাটিয়েছেন, যা মহাকাশে প্রথম মহিলা হিসাবে সবচেয়ে বেশি সময়। তিনি এখনও কর্মক্ষম মহাকাশচারী এবং হিউস্টন, টেক্সাসে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে অবস্থিত।

সুনিতা উইলিয়ামসের জন্ম ও শৈশব


সুনিতা উইলিয়ামস ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫ সালে ওহিওর ইউক্লিডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তিন কন্যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট। তার বাবা ডিজনি উইলিয়ামস স্লোভেনিয়ান বংশোদ্ভূত একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং তার মা উর্মিলা পান্ডিয়া উইলিয়ামস ভারতের গুজরাটের একজন বাড়িতে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয়। যখন তিনি নয় বছর বয়সে ছিলেন, তখন তার পরিবার দক্ষিণ ফ্লোরিডায় চলে যায়।

নৌবাহিনী এবং নাসার ক্যারিয়ার


উইলিয়ামস ১৯৮৭ সালে নৌবাহিনী একাডেমি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করে স্নাতক হন। নৌবাহিনীতে সেবা করা অবস্থায়, তিনি একটি হেলিকপ্টার পাইলট হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেন এবং ক্যারিয়ারের জন্য সমুদ্রে ১০ বছর কাটিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে তিনি নাসার মহাকাশচারী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) এক্সপেডিশন ১৪/১৫ মিশনের সদস্য হিসাবে নিজের প্রথম স্পেসফ্লাইট করেন।

প্রধান অবদান


সুনিতা উইলিয়ামস মহাশূন্যে একজন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী, যিনি ছয়টি স্পেসফ্লাইট মিশনে অংশ নিয়েছেন। তিনি স্পেসওয়াকের সময় ১৯ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে মহাকাশে সর্বকালের সর্বোচ্চ পরিমাণের স্থানান্তরণ করেছেন। তিনি একটি নতুন সৌরশক্তি ব্যবস্থা ইনস্টল করার কাজে অংশ নিয়েছিলেন যা আইএসএস-এর পৃথক রাশিয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশগুলির মধ্যে শক্তি সরবরাহের অনুমতি দিয়েছিল। উইলিয়ামস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রথম ম্যারাথন দৌড়বিদও, যা তিনি ২০০৭ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ ম্যারাথন হিসাবে পরিচিত।

পদক ও সম্মান


উইলিয়ামস তার সামরিক এবং মহাকাশযাত্রী ক্যারিয়ারে অনেক পদক এবং সম্মান লাভ করেছেন। তিনি নৌবাহিনীর ডিসটিংগুইশড সার্ভিস মেডেল, মেরিটরিয়াস সার্ভিস মেডেল এবং ডিসটিংগুইশড ফ্লাইইং ক্রসের মতো মার্কিন সামরিক পুরস্কারের প্রাপক। তিনি নাসার স্পেসফ্লাইট মেডেলেরও প্রাপক, যা মহাকাশে তার অবদানের স্বীকৃতি। তিনি কিছু সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রিও পেয়েছেন।

ব্যক্তিগত জীবন


সুনিতা উইলিয়ামসের মাইকেল জে উইলিয়ামস নামে একজন ছেলে আছে, যিনি ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি তেঁতুল, টক দই এবং মসলাদার খাবার পছন্দ করেন। অবসর সময়ে, তিনি ঘুরতে, ইতিহাস পড়তে এবং সঙ্গীত শুনতে আনন্দ করেন। তিনি স্প্যানিশ এবং রাশিয়ান ভাষায়ও কিছুটা দক্ষ।

উত্তরাধিকার


সুনিতা উইলিয়ামস একজন অগ্রণী মহাকাশচারী যিনি মহাশূন্যে নারীদের জন্য দ্বার অর্ধেক করেছেন। তিনি একজন প্রেরণাদায়ক ফিগার যার অবদান মহাকাশ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে চিরস্থায়ীভাবে স্মরণ করা হবে। তার কাজ ভবিষ্যতের প্রজন্মের মহিলাদের মহাকাশে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে চলবে।