আপনি যা জানা উচিত জিকা ভাইরাস সম্পর্কে




বর্তমানে, জিকা ভাইরাস খবরে শিরোনাম হচ্ছে। কিন্তু এই ভাইরাসটা ঠিক কী, এবং এটি কতটা গুরুতর? এখানে জিকা ভাইরাস সম্পর্কে আপনার যা জানা উচিত তা সবই রইলো।
## জিকা ভাইরাস কী?
জিকা ভাইরাস এডিস জাতের মশা কর্তৃক ছড়ানো একটি আরএনএ ভাইরাস। এই মশাগুলি দিনের বেলায় সাধারণত সক্রিয় থাকে, এবং এগুলি পরিষ্কার জলের স্তিমিত এলাকায় প্রজনন করতে পছন্দ করে।
## জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী?
জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলি মৃদু এবং এগুলি সাধারণত সংক্রমণের পরে 2-7 দিনের মধ্যে দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:
* জ্বর
* মাথাব্যথা
* চোখের ব্যথা
* পেশী এবং জয়েন্ট ব্যথা
* বমি বমি ভাব
* ডায়রিয়া
* চর্মের ফুসকুড়ি
## জিকা ভাইরাস কতটা গুরুতর?
বেশিরভাগ মানুষের জন্য, জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ মৃদু এবং স্বল্পস্থায়ী হয়। তবে, কিছু গুরুতর জটিলতাও হতে পারে, যেমন:
* গিলেন-বারে সিনড্রোম: এটি একটি অটোইমিউন রোগ যা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে।
* মাইক্রোসেফালি: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে শিশুর মাথা অস্বাভাবিকভাবে ছোট হয়।
## জিকা ভাইরাস থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন?
জিকা ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল মশার কামড় থেকে বাঁচা। এটি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:
* পোষাক পরা যা আপনার ত্বককে ঢেকে রাখে
* মশা বিকর্ষক ব্যবহার করা
* মশারির ব্যবহার করা
* খোলা স্তিমিত জলের জায়গাগুলি দূর করা
* মশা তাড়ানোর জিনিস ব্যবহার করা
## গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা
গর্ভবতী মহিলাদের জিকা ভাইরাস সংক্রমণের বিশেষ ঝুঁকি রয়েছে। এটি মাইক্রোসেফালি সহ শিশুর জন্মগত ত্রুটির কারণ হতে পারে।
যদি আপনি গর্ভবতী হন বা গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করছেন, তাহলে আপনার মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
* জিকা ভাইরাস সংক্রমিত এলাকায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলা
* মশা বিকর্ষক ব্যবহার করা
* মশারির ব্যবহার করা
## আরও জানুন
জিকা ভাইরাস সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, দয়া করে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর ওয়েবসাইট দেখুন।