আপর একাদশী ব্রত কথা




প্রতিটি একাদশী উপবাসেরই নিজস্ব সংকল্প, পদ্ধতি ও ফল রয়েছে।। তবে, সকল একাদশী ব্রতের মধ্যে "আপর একাদশী" অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলদায়ক বলে বিবেচিত হয়।

আপর একাদশীর কাহিনি

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে, ত্রেতাযুগে মহারাজ আরিষ্টনেমি ঋষিদের জিজ্ঞাসায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার বোন একাদশীর কাহিনি বর্ণনা করেন।

একদা, মৃত্যুলোকে নরনারায়ণ তীর্থে স্নান করতে যান। স্নান শেষে তিনি যখন অল্প অন্ন গ্রহণ করছিলেন, তখন এক অপ্সরা স্বর্গ থেকে ভুলক্রমে পৃথিবীতে পতিত হয়। পৃথিবীতে পতিত হওয়ার সাথে সাথেই তিনি ভগবান নরনারায়ণের সামনে উপস্থিত হন।

ভগবান অপ্সরাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কে এবং কেন এখানে এসেছ?"

অপ্সরা বলল, "আমি স্বর্গের অপ্সরা উর্বশী। স্বর্গে একবার আমি ইন্দ্রকে ভুলবশত ইন্দ্রকোপ বলে সম্বোধন করেছিলাম। এর জন্য ইন্দ্র রুষ্ট হয়ে আমাকে পৃথিবীতে নির্বাসিত করেছেন।"

ভগবান নরনারায়ণ অপ্সরা উর্বশীকে বললেন, "তুমি আগামী একাদশী উপবাস পালন কর। এই উপবাস যেভাবে পালন করতে হয়, আমি তোমাকে সেটা বলে দিচ্ছি।"

ভগবান নরনারায়ণ একাদশী ব্রতের নিয়মাদি সম্পর্কে উর্বশীকে জ্ঞান দিলেন এবং বললেন, "এই ব্রত পালন করলে তুমি তোমার পাপ থেকে মুক্তি পাবে এবং স্বর্গে ফিরে যেতে পারবে।"

উর্বশী ভগবানের নির্দেশ অনুসারে একাদশী ব্রত পালন করেন। ব্রতের ফলস্বরূপ তিনি তাঁর সকল পাপ থেকে মুক্ত হন এবং পুনরায় স্বর্গে ফিরে যান।

আপর একাদশীর গুরুত্ব

  • এই উপবাসটি অপর অদক্ষ বলে পরিচিত। অর্থাৎ, এটি নিরাপরাধের জন্যও উপকারী।
  • আপর একাদশী ব্রত পালন করলে অগণিত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • এই ব্রতের প্রভাবে রাহু ও কেতু পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • আপর একাদশী ব্রত পালন করলে সন্তান লাভ হয়।
  • এই উপবাস পালন করলে বিবাহিত জীবনে সুখ ও শান্তি আসে।

আপর একাদশী ব্রত পালনের নিয়ম

  • দশমী তিথির সন্ধ্যায় এক বেলা ফল বা সাত্বিক আহার করতে হয়।
  • একাদশী তিথির সকালে স্নান করে শ্রীবিষ্ণুর পূজা করতে হয়।
  • पूरे दिन सिर्फ फ़ल या नमक डालकर प्रसाद का सेवन करना होता है।
  • দ্বাদশী তিথির সকালে ব্রাহ্মণদের ভোজন করিয়ে দক্ষিণা দিতে হয়।

উপসংহার

আপর একাদশী একটি অত্যন্ত পবিত্র এবং ফলদায়ক উপবাস। এই ব্রত পালন করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং শুভ ফল লাভ হয়। তাই, সকল ভক্তদের উচিত এই ব্রত পালন করা এবং এর ফল থেকে উপকৃত হওয়া।