আবারও কি পড়ে গেল WhatsApp? নেটদুনিয়ায় রীতিমতো হইচই
প্রযুক্তির দুনিয়ায় এমন ঘটনা বারংবার ঘটে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া, ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলির সার্ভারে সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও এরকমই একটি ঘটনা ঘটল। নেটদুনিয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল WhatsApp-এর সার্ভারে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে।
বারংবার মেসেজ পাঠাতে গিয়ে ইন্টারনেট সুষ্ঠুভাবে কাজ না করার সমস্যাটুকু নিয়ে এত দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ, এই সমস্যা মোটেই স্থায়ী নয়। কয়েক ঘণ্টা সমস্যা হওয়ার পরে আবারও লোকে স্বচ্ছন্দে WhatsApp-এ মেসেজ পাঠাতে পেরেছেন।
বিকেল ৫টা নাগাদ হঠাৎই WhatsApp-এর সার্ভারে বিভ্রাট শুরু হয়। দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা। কেউ কারও মেসেজ পাঠাতে পারছিলেন না। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে, মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেই সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছিল। পুরো এলাকায়ই এই সমস্যা দেখা দেওয়ায় নেটদুনিয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়।
যেহেতু WhatsApp একটি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ, তাই এই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মজার মিম এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। অনেকেই লিখছেন, “WhatsApp আবারও পড়ে গেল! এবার আমার মেমে দেখার কোনও উপায়ই নেই।”
আবার কেউ বলছেন, “আমি এখনও অফিস থেকে বাড়ি ফিরিনি। এমন সময় WhatsApp-এর সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ায় আমি পাড়ার ছোটদের কাছে আমার লোকেশন অন রিয়েল টাইমে পাঠাতে পারছি না।”
তবে মজা-তামাশা যাই হোক, সার্ভার ডাউন হওয়ার এই সমস্যাটি যথেষ্ট বিরক্তিকর। কারণ, আজকের দিনে WhatsApp শুধুমাত্র বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য নয়, এটি পেশাদার যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমও হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ঘটনার পরে, WhatsApp-এর পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি এখনও আসেনি। তবে সার্ভারে সমস্যা হওয়ার এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটির জন্য সংস্থাটি ক্ষমা চাইবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হলো, WhatsApp-এর সার্ভারের এই সমস্যাটি আবারও ভবিষ্যতে দেখা দেবে কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া মুশকিল। কারণ, এটি প্রযুক্তির দুনিয়ায় যেকোনও সময় ঘটতে পারে। তবে WhatsApp-এর ইঞ্জিনিয়াররা निश्चितভাবেই এই সমস্যাটি আরও ভালোভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ঘটনাটি আমাদের একটা শিক্ষা দেয় যে, আমাদের সবসময়ই পরিকল্পনা ‘বি’ রেডি রাখা উচিত। যদি কখনও WhatsApp-এর মতন প্ল্যাটফর্মের সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে আমাদের কাছে যোগাযোগের অন্য কোনও উপায় থাকা উচিত।