১৫ বছর বয়সে, আভিনাভ জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শুরু করেন। তাঁর প্রতিভা দ্রুত স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে, তিনি এশিয়ান গেমসে রৌপ্যপদক জয় করেন। এটি ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক সাফল্যের শুরু।
২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক আভিনাভের কর্মজীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এটি ছিল তাঁর সর্বশেষ অলিম্পিক। বেইজিং অলিম্পিকে অংশগ্রহণের আগে, তিনি তাঁর প্রশিক্ষণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেন। তিনি দিনে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত অনুশীলন করতেন। প্রচণ্ড প্রতিযোগিতার মধ্যে, আভিনাভ তাঁর শান্ত রেখে তাঁর সবচেয়ে ভালোটি দেন। এবং অবশেষে, তিনি সেই কাঙ্ক্ষিত স্বর্ণপদকটি জিতেছিলেন।
আভিনাভের সাফল্য শুধুমাত্র একটি স্বর্ণপদকের বেশি কিছু নয়। এটি ছিল ভারতীয় ক্রীড়ার ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি এমন একটি প্রেরণা যা অনেক ভারতীয় ক্রীড়াবিদকে স্বপ্ন দেখতে এবং জিততে অনুপ্রাণিত করেছে।
আভিনাভের সফলতার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। এগুলির মধ্যে কয়েকটি হল:
আভিনাভ বিন্দ্রা শুধুমাত্র একজন সফল ক্রীড়াবিদই নন। তিনি একজন অনুপ্রেরণাও। তাঁর সাফল্যের কাহিনী আমাদের দেখায় যে যদি আমরা প্রচুর অনুশীলন করি, মানসিকভাবে শক্তিশালী হই এবং একটি সহায়ক ব্যবস্থা রাখি, তাহলে আমরা যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারি।
একটি কল্পনা করুন যে, আপনি একজন অলিম্পিক শ্যুটার। আপনি আপনার পুরো জীবন রাইফেল শ্যুটিং অনুশীলন করেছেন। আপনি অসংখ্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং অনেক পদক জিতেছেন। কিন্তু আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনও অর্জন করা হয়নি: একটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক।
অলিম্পিকের দিনটি অবশেষে এসে পৌঁছল। আপনি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন এবং আপনার হৃদয় দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছে। আপনি আপনার স্থানে দাঁড়ান এবং শান্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। আপনি জানেন যে আপনার সামনে একটি দীর্ঘ এবং কঠিন প্রতিযোগিতা রয়েছে, কিন্তু আপনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং আপনি আপনার প্রথম শটটি নিয়ে নেন। আপনি কেন্দ্রটি আঘাত করেন। আপনি প্রতিটি শটের সাথে আপনার ফোকাস এবং সংকল্প বজায় রাখেন। শেষ পর্যন্ত, শুধুমাত্র দুটি শ্যুটার অবশিষ্ট থাকে: আপনি এবং আপনার সবচেye শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী।
অন্তিম শটের জন্য, আপনি লক্ষ্যে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আপনি শ্বাস নিতে বন্ধ করেন এবং ট্রিগার টেনে ফেলেন। হঠাৎ, একটি প্রচণ্ড গোলার আওয়াজ হয় এবং আপনি জানেন যে আপনি কেন্দ্রে আঘাত করেছেন।
বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবং আপনি আপনার অলিম্পিক স্বর্ণপদকের জন্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন। এটি আপনার সারাজীবনের স্বপ্ন যা এখন সত্যি হয়ে গেছে। আপনি আপনার পরিবার, বন্ধু এবং কোচদের অভিনন্দন জানাতে হাসছেন।
স্বর্ণপদক আপনার গলায় ঝুলে রয়েছে এবং আপনি জানেন যে এই মুহূর্তটি আপনার জীবনের বাকি সময়ের জন্য আপনার সাথে থাকবে। আপনি এটিকে স্মরণীয় করে তুলবেন, কারণ এটি আপনার প্রচুর অনুশীলন, মানসিক শক্তি এবং সহায়ক ব্যবস্থার ফল।
আপনার স্বপ্নের পিছনে ছুটে যান। আপনি যদি প্রচুর অনুশীলন করেন, মানসিকভাবে শক্তিশালী হন এবং একটি সহায়ক ব্যবস্থা রাখেন, তাহলে আপনি যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারেন।