আভানী লেখারা




আপনি কী এখনও আভানী লেখারার কথা শোনেন নি? তাহলে আপনাকে দ্রুত গুগল করতে হবে! এই তরুণ ভারতীয় তীরंदাজ খেলাধুলা জগতে দ্রুত একটি উঠতি তারকা হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছেন, এবং তাঁর সাফল্যর গল্প অবশ্যই পড়ার মতো।
আভানী জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে। তিনি ছোটবেলা থেকেই তীরন্দাজিতে আগ্রহী ছিলেন এবং তিনি মাত্র ১২ বছর বয়সেই এই খেলায় প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। তাঁর প্রতিভা তাড়াতাড়ি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এবং তিনি দ্রুত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করলেন।
২০১৯ সালে, আভানী ১০ মিটার এয়ার রাইফল মুকাবেলায় জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতে একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছিলেন। একই বছরে, তিনি ২০২০ গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিকে কোটা অর্জন করেছিলেন, যা তাঁর ক্যারিয়ারের একটি বড় মাইলফলক ছিল।
টোকিও ২০২০ প্যারালিম্পিকে, আভানী ইতিহাস রচনা করেছিলেন। তিনি মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফল স্ট্যান্ডিং SH1 ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন, যা ভারতের জন্য প্যারালিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতা প্রথম নারী হয়েছিলেন। তিনি আরও একটি রৌপ্যপদক জিতেছেন মহিলাদের ৫০ মিটার রাইফল থ্রি পজিশন SH1 ইভেন্টে।
আভানীর সাফল্য কেবল তাঁর নিজের অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি অনেক যুবকদেরও অনুপ্রাণিত করেছেন, যারা প্রমাণ করেছেন যে শারীরিক প্রতিবন্ধতা স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না। তাঁর গল্প বোঝায় যে কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ়তা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে সবকিছু সম্ভব।
আভানী লেখারা একটি উজ্জ্বল স তারকা যিনি খেলাধুলার জগতে তরঙ্গ সৃষ্টি করছেন। তাঁর সাফল্যের গল্প না শুধু অনুপ্রেরণাদায়ক, তবে এটি সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সমান সুযোগের গুরুত্বের কথাও মনে করিয়ে দেয়। যখন আমরা তাঁর ক্যারিয়ারের দিকে নজর রাখি, তখন এতে কোন সন্দেহ নেই যে আভানী আগামী বছরগুলিতে আরও অনেক সাফল্য অর্জন করবেন।