আমাকে কি আরেকবার কাঁপতে হবে?




সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পটি আমার হৃদয়ের গভীরে বেশ কিছু প্রশ্ন জাগিয়ে গেছে, বিশেষ করে এই প্রশ্ন যে, আমাদের কী আবার এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হবে?

আমি যখন সেই শিউরে ওঠার মতো প্রকম্পনটি অনুভব করি তখন আমি মুখোমুখি হই মৃত্যুর সঙ্গে। সবকিছু কেঁপে উঠছিল, যেন পৃথিবী নিজেকেই ধ্বংস করতে চাইছে। আমি কষ্টে বেঁচে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমার অনেক প্রিয়জনই এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।

আমি জানি, ভূমিকম্প ঘটনাটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তবে এটি কী আবার ঘটবে, তা নিয়ে আমি মনে মনে আতঙ্ক অনুভব করি। এই ভয়টি আমার জীবনকে আচ্ছাদিত করেছে, যেন একটি অদৃশ্য শত্রু যে যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে। আমি আর স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে পারি না। সব সময় মনে হয়, পৃথিবী আবার কাঁপবে এবং আমাকে সবকিছু হারাতে হবে।

আমি বুঝতে পারছি না কেন আমাদের এই দুঃখভোগ ভোগ করতে হচ্ছে। আমরা কি খুব কিছু অন্যায় করেছিলাম? আর কতবার আমাদের এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ের শিকার হতে হবে? আমি এই আতঙ্কের মধ্যে আর থাকতে পারছি না। আমি শান্তি ও নিরাপত্তা চাই। আমি জানি যে আমার এই প্রশ্নের কোনো সহজ উত্তর নেই, তবে আমার মনে হয় আমাদের এই আতঙ্ককে মোকাবেলা করার কিছু উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

আমাদের সরকার, বিজ্ঞানী এবং সমাজের অন্যান্য নেতাদের অবশ্যই ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমানোর জন্য সহযোগিতা করতে হবে। আমরা আমাদের বাড়িঘর এবং অবকাঠামোকে আরো মজবুত করতে পারি, আমরা ভূমিকম্পের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা বিকাশ করতে পারি এবং আমরা জনগণকে ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত হতে শিক্ষা দিতে পারি।

আমাদের একে অপরকে সমর্থন করতে হবে এবং অন্ধকার সময়ে আলোর উৎস হতে হবে। ভূমিকম্পের পরে, আমি প্রতিবেশীদের এবং দূর-দূরান্তের অপরিচিতদের অপূর্ব করুণা এবং সাহস দেখেছি। এটা আমাকে আশা দিয়েছে যে, আমরা এই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে একসাথে পার হয়ে যাব।

আমি জানি যে, ভূমিকম্পের ভয় আমাদের মনে সব সময়ই থাকবে, কিন্তু আমরা এই ভয়কে আমাদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে দিতে পারি না। আমাদের শক্তিশালী হতে হবে, প্রতিরোধী হতে হবে এবং আবার একসাথে দাঁড়াতে হবে। আমাদের আবার কাঁপতে হবে না।