আমানতুল্লাহ খান হলেন দিল্লি বিধানসভার ওখলা আসনের বিধায়ক। তিনি আওয়ামি আদালত পার্টির সদস্য।
খান ১৯৭৬ সালে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন সামাজিক কর্মী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং পরে অখিল ভারতীয় মুসলিম মজলিসে প্রবেশ করেন।
খান ২০১৩ সালে প্রথমবার ওখলা থেকে দিল্লি বিধানসভায় নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৫ এবং ২০২০ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন। তিনি দিল্লি সরকারে মন্ত্রীও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
খান হলেন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, ভূমি দখল এবং অবৈধ নির্মাণ। তবে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
খান হলেন একজন জনপ্রিয় নেতা এবং তাঁর অনুসারীদের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনগণের মধ্যে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বলেও পরিচিত।
সম্প্রতি, খান এমসিডি নির্বাচন নিয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, "যদি এমসিডি নির্বাচনে বিজেপি হেরে যায়, তাহলে দিল্লির মুসলমানরা কোনো উন্নয়ন দেখবে না।" এই মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্যতা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
খানের বিতর্কিত মন্তব্যের পরে, তাঁকে এএপি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে, তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর মন্তব্য ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং তিনি কাউকে উস্কে দিতে চাননি।
এমসিডি নির্বাচনের পরে খানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বা পুনরায় নিযুক্ত করা হতে পারে। তবে, এটি নিশ্চিত যে তিনি দিল্লির রাজনীতিতে একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসাবে তাঁর স্থান বজায় রাখবেন।