আমার যুক্তরাজ্য অভিজ্ঞতা : ভালোবাসার গল্প আর কান্ডের ঘটনা
এই গল্পটি আমার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বলবে। এটা শুধুমাত্র ভালোবাসার গল্প নয়, এটা হাস্যকর কান্ডেরও গল্প।
আমি যখন লন্ডনে পড়াশুনা করছিলাম, তখন আমার এক ব্রিটিশ সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমে পড়েছিলাম। আমরা দুজনেই কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র ছিলাম, এবং আমাদের ক্লাসে একসঙ্গে অনেক সময় কাটাতাম। আমার তাকে পছন্দ হওয়ার কারণ তার হাসি আর সহজ সরল মনোভাব। আমরা দুজনেই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে খুব আগ্রহী ছিলাম, এবং আমরা প্রায়ই ক্লাসের বাইরেও একসঙ্গে প্রোজেক্টে কাজ করতাম।
একদিন, আমরা ক্লাস থেকে বের হওয়ার পরে দুজনে একটা কফি খেতে বসলাম। আমরা কথা বলতে বলতে হঠাৎ দেখি একটা কুকুর আমাদের টেবিলের নিচে এসে বসেছে। আমরা তার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকলাম, এবং সেও আমাদের দিকে তাকিয়ে লেজ নাড়ছিল। আমরা দুজনেই কুকুর ভালোবাসি, তাই আমরা তাকে কিছু খাবার দিতে বার করলাম।
কিন্তু সে খাবার না নিয়ে আমাদের টানতে শুরু করল। আমরা বুঝতে পারছিলাম না সে কেন আমাদের টানছে। আমরা তাকে ফেলতে থাকলাম, কিন্তু সে বার বার আমাদের দিকে টানল। অবশেষে, আমরা তাকে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
কুকুরটি আমাদের একটা গলির মধ্যে একটা ছোট্ট বাড়ির সামনে নিয়ে গেল। আমরা দুজনেই অবাক হয়ে গেলাম। আমরা কখনো এই গলির কথা শুনিনি। আমরা কুকুরটির দিকে তাকালাম, এবং সে তার লেজ নাড়ল। তারপর সে বাড়ির সামনের দরজার সামনে গিয়ে বসল।
আমরা দরজায় কড়া নাড়লাম, এবং কিছুক্ষণ পরে একজন বয়স্ক মহিলা দরজা খুললেন। তিনি আমাদের দেখে হাসলেন এবং বললেন, "আমি জানতাম তোমরা আসবে।"
আমরা অবাক হয়ে গেলাম। আমরা তাকে বললাম যে আমরা কুকুরটির অনুসরণ করে এসেছি। তিনি হাসলেন এবং বললেন, "আমার নাম মিসেস স্মিথ। এই কুকুরটির নাম লাকি। সে আমার বাগানে এসেছিল, এবং আমি তাকে বলেছিলাম আমার কিছু বন্ধু আসবে।"
আমরা মিসেস স্মিথকে বললাম যে আমরা লন্ডনের ছাত্র, এবং আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি। তিনি আমাদের বাড়ির ভিতরে ডেকে নিলেন, এবং আমাদের চা আর কেক দিলেন। আমরা তার সঙ্গে অনেক কথা বললাম, এবং আমরা জানতে পারলাম যে তিনি একজন বিধবা, এবং তার কোন সন্তান নেই।
আমরা মিসেস স্মিথের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়, আমাদের মনে হল আমরা তাকে বহুদিন ধরে চিনি। আমরা তার খুব কাছের বন্ধু হয়ে গেলাম, এবং আমরা প্রায়ই তার বাড়িতে যেতাম। আমরা তার সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি, এবং আমরা তার জীবনের অনেক গল্প শুনেছি।
মিসেস স্মিথের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের যুক্তরাজ্য অভিজ্ঞতাকে আরও বিশেষ করে তুলেছিল। এটা দেখিয়েছিল যে ভালোবাসা এবং বন্ধুত্ব সীমানা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটা আমাদের শিখিয়েছিল যে বিশ্ব জুড়ে মানুষের মধ্যে মিল আছে, এবং আমরা সবাই একসঙ্গে জীবন উপভোগ করতে পারি।