আমরা শেষ হয়ে যাই সিনেমাটির বিশ্লেষণ
কলিলে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আটকে দেওয়া নারীদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগতাড়িত হয়ে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি। একটা রাস্তার পাশে এসে তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন। ফুটপাথে বসা এক নারীর কাছে তিনি যান। ক্যামেরা সেই নারীর ভগ্ন ও প্রচণ্ড রকম আহত মুখ দেখায়। লাইভলি তখন নারীটিকে জিজ্ঞাসা করেন, তাকে কি সাহায্যের প্রয়োজন।
নারীটি বলেন, না, সাহায্যের প্রয়োজন নেই তার। কিন্তু তারপর তিনি বললেন, লাইভলির এই সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ তাকে। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ তখনও চলছে। লাইভলি এগিয়ে গেলেন।
নিবন্ধটির জন্য লাইভলির এই কথোপকথনটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, কলিলে তার সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন। বইটির নাম “হি এন্ডস উইথ আস: ইউ ওন্ট কনভিন্স মি দ্যা সান ইজ মুন”। এই বই একটি নারীর গল্প বলে, যাকে তার পুরনো প্রেমিক শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
বইটি সারা বিশ্বে বেস্টসেলার হয়ে ওঠে। এবং এখন, এটি একটি সিনেমায় রূপান্তরিত হয়েছে।
সিনেমাটির ট্রেলারটি রিলিজ হওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে অনেক আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছু লোক বলেছেন যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরছে। অন্যরা বলেছেন যে, এটি খুব বেশি মেলোড্রাম্যাটিক এবং নাটকীয়।
আমি সম্প্রতি এই সিনেমাটি দেখে এসেছি। আমি মনে করি, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরেছে। তবে আমার মনে হয়েছে যে, এটি খুব বেশি মেলোড্রাম্যাটিক এবং নাটকীয় হয়ে গেছে।
একটি বিষয়, যেটি আমি এই সিনেমায় সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেছি, তা হলো অভিনয়। ব্লেক লাইভলি লিলির চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তিনি লিলির বেদনা, রাগ এবং ভयকে দারুণভাবে প্রকাশ করেছেন।
যদিও সিনেমাটির কিছু অংশ খুব বেশি মেলোড্রাম্যাটিক এবং নাটকীয়, তবুও আমি মনে করি যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরেছে। আমি আশা করি যে, এই সিনেমাটি আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাবে এবং তারা পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ে সচেতন হবেন।