আমার সেরা বন্ধুর বিয়ের খোঁজে একটি দুঃসাহসিক যাত্রা
কথা তুলে ধরার জন্য সঠিক শব্দ পেতে আমার কিছুটা সময় লাগবে। কিছু ঘটনা আছে যা এক ছিল যা সময়ের সাথে সাথে স্মৃতি হয়ে যায়, আর সেই স্মৃতিগুলো অমূল্য হয়ে ওঠে। আমার বন্ধুর বিয়ে এমনই একটি স্মৃতি যা আমি সারা জীবন ধরে মনে রাখব।
আমার বন্ধু জিতেশ শর্মা, আমার কলেজের দিন থেকেই আমার সেরা বন্ধু। আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু দেখেছি, তাই যখন তার বিয়ে হওয়ার খবর পাওয়া গেল, তখন আমি খুশি হইলাম এবং একটু দুঃখও হলো। খুশি এ কারণে যে, আমার বন্ধু তার জীবনের নতুন পথে পা বাড়াচ্ছে, আর দুঃখ এ কারণে যে, সে আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।
তার বিয়ের কাজ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে, সে আমাদের বলল যে তার বিয়ে হবে তার গ্রামের বাড়িতে। তার গ্রামটি পশ্চিমবঙ্গের একটি ছোট্টো শহর থেকে প্রায় 50 কিলোমিটার দূরে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমরা সবাই গাড়ি করে সেখানে যাব।
বিয়ের আগের দিন, আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করলাম। গাড়িতে আমরা ছিলাম 6 জন - আমি, জিতেশ, তার ভাই, তার বোন এবং তার দুই বন্ধু। আমাদের সকলেরই মেজাজ খুব ভালো ছিল। আমরা গান গাইছিলাম, গল্প করছিলাম এবং রাস্তার পাশের দৃশ্য উপভোগ করছিলাম।
যখন আমরা জিতেশের গ্রামে পৌঁছলাম, তখন আমাদের মনে হলো যেন আমরা স্বর্গে এসেছি। গ্রামটি ছিল সবুজ গাছপালা এবং সুন্দর ফুল দিয়ে ঘেরা। বাড়িগুলো ছিল সাদা এবং লাল রঙের, আর রাস্তাগুলো পরিষ্কার ছিল।
আমরা জিতেশের বাড়িতে পৌঁছলাম এবং তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হলাম। তারা খুব উষ্ণ এবং সাদাসিধা মানুষ ছিল। আমরা তাদের বাড়িতে বসেছিলাম এবং কিছুক্ষণ গল্প করলাম। তারপর, আমরা ব্যাগ রেখে বাইরে বের হলাম।
আমরা গ্রামটি ঘুরলাম এবং কিছু দোকানে গেলাম। আমরা কয়েকটি স্থানীয় খাবারও চেখে দেখলাম। সন্ধ্যার দিকে, আমরা জিতেশের বাড়িতে ফিরে আসি।
রাতে, জিতেশের পরিবার আমাদের জন্য একটি বিশেষ ডিনারের আয়োজন করেছিল। খাবারটি ছিল দুর্দান্ত, এবং আমরা সবাই মজা করছিলাম। ডিনারের পর, আমরা বাইরে গিয়ে কিছু ফটো তুললাম।
বিয়ের দিন, সকালে আমরা সবাই ঘুম থেকে উঠলাম এবং প্রস্তুত হলাম। জিতেশ একটি সাদা শেরওয়ানি পরেছিল এবং সে দেখতে খুব সুদর্শন লাগছিল। তার বউ সুদীপ্তা একটি লাল রঙের লেহেঙ্গা পরেছিল এবং সে দেখতে খুব সুন্দরী লাগছিল।
বিয়েটি ছিল একটি παραδοσιαগত হিন্দু বিয়ে। বিয়েটি খুব সুন্দর ছিল এবং আমরা সবাই খুব মজা করেছিলাম। বিয়ের পর, আমরা রিসেপশনে গেলাম। রিসেপশনটি ছিল একটি আধুনিক অনুষ্ঠান এবং আমরা সবাই খুব মজা করেছিলাম।
পরের দিন, আমরা সকালে জিতেশের বাড়ি থেকে বিদায় নিলাম। আমরা সবাই খুশি ছিলাম কিন্তু একটু দুঃখও ছিল। আমি জানতাম যে আমি জিতেশকে আবার দেখব, কিন্তু এটি আবার সেই একই হবে না।
যখন আমরা বাড়ি ফিরছিলাম, তখন আমি জানালার বাইরে তাকিয়ে ভাবছিলাম। আমি ভাবছিলাম যে, কিভাবে একটি ছোট্টো গ্রামের ছেলে তার জীবনের লক্ষ্য পেয়েছিল। আমি ভাবছিলাম যে, কীভাবে আমাদের বন্ধুত্ব সময়ের সাথে সাথে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
যখন আমি বাড়ি ফিরলাম, তখন আমার মনে পুরনো স্মৃতিগুলো ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমি জানতাম যে জিতেশের বিয়ে আমার জীবনের একটি অমূল্য স্মৃতি হিসেবে থাকবে।
আমি আশা করি, জিতেশ এবং সুদীপ্তার জীবন সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে পূর্ণ হবে। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।
সেই যাত্রার ছবিগুলো আমার মোবাইলে এখনও আছে। যখনই আমি সেগুলো দেখি, তখনই আমার স্মৃতিতে ফিরে যাই। সেই দিনগুলো আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা দিনগুলো ছিল।