আমার সিং চমকিলা: এক অসাধারণ গানের মহানতার কাহিনী




বহুদিন পরে বাংলা সিনেমায় এমন একটা ছবি দেখলাম যেটা আমার মনটা ভরে দিল। চমকিলা নামটা শুনলেই আমার মাথায় ভেসে উঠত ঠুং পাঞ্জাবি গায়ক তথা অভিনেতা আমর সিং চমকিলা। তবে এ ছবির সাথে চমকিলার কোন সম্পর্ক নেই। অথচ, ছবিটির চিত্রনাট্যকার মধুকার দীপ্তময় বলছিলেন, "আমাদের ছবিটাও তাদের সেই স্টেজেই পৌঁছে গিয়েছে।" এ কথার পিছনে কী ঘটনা ঘটেছে, তা জানতেই এই ছবি দেখার জন্য তিনবার সিনেমা হলে যেতে হয়েছিল।

এটা একটা রাস্তার গল্প। একটা ছেলেকে নিয়ে গল্প। ছেলের নাম লাস্য। যে লাস্য ইলিশ মাছটাকে তার প্রেমিক বানিয়ে নেয়। থাকে একটা পাড়ায়। পাড়ায় আছে হাসান নামের একটা ছেলে। আছে বাউন্ডু নামের একটা ছেলে। আছে মুন্না নামের একটা ছেলে। এরা সবাই একই গলির বন্ধু। কিন্তু একদিন গলিটার মাঝে হয়ে যায় একটা লড়াই।

একটা মেয়ে লড়াইটার মধ্যে পড়ে যায়। লাস্য মেয়েটাকে বাঁচায়। মেয়েটা লাস্যের উপর রাগ করে। কিন্তু লাস্য মেয়েটার পেছন পেছন ঘুরতে থাকে। একদিন মেয়েটা লাস্যের বাসায় যায়। লাস্য মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করে, "তুমি কি আমার গান গাওয়া শুনে এসেছ?"

মেয়েটা বলে, "না, তোমার গলা শুনতে আসিনি। তোমার লাস্য নামটা শুনে এসেছি।" এরপর থেকে মেয়েটা লাস্যকে প্রতিদিন দেখতে আসে। লাস্যও মেয়েটাকে দেখতে যায়। একদিন তারা দুজনে প্রেমে পড়ে যায়।

কিন্তু তাদের প্রেমের মধ্যে ঢুকে পড়ে একটা বাধা। হাসান লাস্যের প্রেমিকাকে ভালোবাসে। সে লাস্যকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু লাস্য হাসানকে মেরে ফেলে। এরপর লাস্য এবং তার প্রেমিকা একসঙ্গে পালিয়ে যায়।

এই ছবিটি আমাকে এতটা ভালো লেগেছে কি এই কারণে যে এটি একটি ভালো গল্প, বা এটি একটি ভালো গানের গল্প? আমি নিশ্চিত নই। তবে আমি জানি যে ছবিটি আমার হৃদয়ে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। আমি শীঘ্রই এটি আবার দেখব।

এই ছবিটি সত্যিই দুর্দান্ত হয়েছে। এতে গান, অভিনয়, চিত্রনাট্য সবকিছুই অসাধারণ হয়েছে। যা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে তা হল গানটি। গানটি এত সুন্দর যে বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। চিত্রনাট্যটিও খুবই চমৎকার। এটি আমাদের সমাজের একটি বাস্তবধর্মী ছবি তুলে ধরেছে। অভিনয়ও দুর্দান্ত। ছবিটি দেখতে হলের মধ্যে যেতেই হবে। এটা এমন একটা ছবি যা আপনি জীবনে ভুলবেন না।