১৯৮৮ সালের ৮ মার্চ, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা চামকিলা এবং তার স্ত্রী অমরজিৎ কৌরকে গুলি করে হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডটি আজও একটি রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে, এবং বিভিন্ন তত্ত্ব উত্থাপন করা হয়েছে যা কোনও দিনও প্রমাণিত হয়নি।
সঙ্গীতের বিস্ফোরণ
আমার সিং চমকিলা 1957 সালের 21 জুলাই পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার ঢিলওয়ান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি একটি সঙ্গীত-প্রেমময় পরিবার থেকে এসেছিলেন যেখানে তার বাবা অত্যন্ত সুন্দর গান গাইতেন।
অল্প বয়সে, চামকিলা সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন এবং তবলা বাজিয়ে শুরু করেন।
তিনি পরে গান গাইতে শুরু করলেন এবং তার বন্ধু কুলদীপ মানকের সাথে একটি জুটি গঠন করলেন।
একসঙ্গে, তারা পাঞ্জাবি লোক গান গাওয়ার মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন।
1983 সালে, চামকিলা তার প্রথম এলবাম "חק़ तेरा तेरा बेइमानी" প্রকাশ করেন, যা একটি তাত্ক্ষণিক হিট হয়ে ওঠে।
নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ সুরের সাথে তার পাঞ্জাবি লোক গানগুলি দ্রুত পাঞ্জাবজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
তিনি তার গানগুলিতে প্রায়ই সামাজিক সমস্যা এবং ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন।
তার কথাগুলির সাহসী এবং প্রাসঙ্গিক প্রকৃতি তার ভক্তদের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছিল এবং তাকে পাঞ্জাবের কন্ঠস্বর হিসাবে দেখা হয়েছিল।
জনপ্রিয়তার শীর্ষে
আমার সিং চমকিলা তাঁর ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছেছিলেন 1980 এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে।
তাঁর গানগুলি চার্টে শীর্ষে ছিল এবং তিনি বিশাল ভক্ত ভক্তি অর্জন করেছিলেন।
তিনি পাঞ্জাবের সবচেয়ে সফল এবং প্রভাবশালী গায়কদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন।
তিনি তাঁর পাঞ্জাবি শ্রোতাদের মধ্যে গভীরভাবে জনপ্রিয় ছিলেন, যারা তাঁর কণ্ঠস্বর এবং আবেগপূর্ণ গানের প্রশংসা করতেন।
পাঞ্জাবি সংগীতের কিংবদন্তি
আমার সিং চমকিলা একটি পাঞ্জাবি সংগীত কিংবদন্তি হিসাবে রয়ে গেলেন।
যদিও তাঁর ক্যারিয়ার অল্প সময়ের ছিল, তবুও তিনি পাঞ্জাবি লোক সংগীতের স্বরূপকে চিরতরে পরিবর্তন করেছিলেন।
তাঁর গানগুলি এখনও পাঞ্জাবি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং প্রায়শই বিশেষ অনুষ্ঠান এবং উত্সবগুলিতে বাজানো হয়।
তাঁর মৃত্যুর পরও, তাঁর সঙ্গীত ভক্ত এবং সমালোচকদের দ্বারা উদযাপন করা অবিরত রয়েছে।