আর্চারি প্যারালিম্পিক ২০২৪ সূচি




আর্চারি প্যারালিম্পিকস্ - এলমো এশপের এনজিও হওয়ার পথচলা
আপনি যদি আমার মতো ১৯৯৬ সালের আটলান্টা প্যারালিম্পিক গেমস দেখে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই ফিনল্যান্ডের মার্কু রায়িমাকির কথা মনে আছে। তিনিই প্রথম প্যারা আর্চার যিনি খেলাটির সেরা বলে বিবেচিত ‘Fita arrow’-এ সোনার পদক অর্জন করেছিলেন।
আজ আমরা এক অস্ট্রিয়ান আর্চারের কথা বলব যিনি মার্কুর মতোই একজন কিংবদন্তি। তিনি সম্প্রতি তার দেশের সবচেয়ে সম্মানসূচক পুরষ্কার অস্ট্রিয়ান ক্রস অফ অনার ফর সায়েন্স অ্যান্ড আর্ট পেয়েছেন। আমরা কথা বলছি এলমো এশপের কথা।

এলমো ১৯৬৩ সালের ১ আগস্ট অস্ট্রিয়ার টিরলের ইন্সব্রুকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অল্প বয়সেই তার বাম পায়ের নীচের অংশটি উচ্ছেদ করতে হয়েছিল। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারানোর পর তার পরিবারও স্থানান্তরিত হয়ে ওপার ভ্যালিতে চলে যায়। এখানেই তিনি তার যাত্রা শুরু করেন।
আর্চারি জীবনে পদার্পন
এলমোর যখন কৈশোর বয়সী ছিল তখন আর্চারিতে তার আগ্রহ জাগে। তিনি ১৯৮৩ সালে প্রথমবার আর্চারি শেখেন। তবে, একজন সফল আর্চার হওয়ার জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। তাকে কৃত্রিম পা পরে অনুশীলন করতে হত এবং এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
অর্জন
এলমোর প্রতিভা সহজে লক্ষ্য করা যায় এবং তিনি খুব দ্রুতই একজন উজ্জ্বল তারকা হয়ে ওঠেন। তিনি অস্ট্রিয়ান ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচবার জয়ী হয়েছেন। এছাড়াও তিনি প্যারালিম্পিক গেমসে দুটি স্বর্ণপদকসহ ছয়টি পদক জিতেছেন।

এলমো এশপের এনজিও হওয়ার পথচলা
এলমো কেবল একজন সফল আর্চারই নন, তিনি একজন দানশীল ব্যক্তিও। তিনি ২০০৬ সালে এলমো এশপ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই এনজিও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করার জন্য নিবেদিত। এটি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্রীড়া এবং অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নিতে সহায়তা করে।
আর্চারি প্যারালিম্পিকস্
এলমো আর্চারি প্যারালিম্পিকের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তিনি ২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটির (আইপিসি) আর্চারি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১২ সালের লন্ডন প্যারালিম্পিক গেমস এবং ২০১৬ সালের রিও ডি জেনিরো গেমসে আর্চারি প্রতিযোগিতার টেকনিক্যাল ডেলিগেট হিসেবে কাজ করেছেন।
প্যারিস ২০২৪
এলমো বর্তমানে প্যারিস ২০২৪ প্যারালিম্পিক গেমসের আর্চারি প্রতিযোগিতার টেকনিক্যাল ডেলিগেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিশ্চিত করতে কাজ করছেন যে প্রতিযোগিতা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং सभी শরীরচর্চাকারীদের সমান সুযোগ দেওয়া হবে।
  • এলমো এশপের কাহিনি একটি অনুপ্রেরণা। তার কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্প আমাদের সকলের জন্য একটি অনুস্মারক যে আমরা যদি সত্যিই চাই তাহলে কিছুই অসম্ভব নয়।

  • প্যারালিম্পিক ক্রীড়া অন্তর্ভুক্তি এবং সুযোগের মহিমা। এটি বিশ্বকে দেখায় যে প্রতিবন্ধীরাও প্রতিভাবান এবং তাদের সাধারণ আর্চারদের মতোই সুযোগ পাওয়ার অধিকার আছে।

  • আমাদের সকলেরই এলমো এশপের মতো মানুষদের গল্প জানা উচিত। তারা আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আমাদের একটি лучшая বিশ্ব তৈরি করার জন্য কাজ করার জন্য উৎসাহিত করে।

প্যারিস ২০২৪ প্যারালিম্পিকে এলমোর যাত্রা নিয়ে আমরা উত্তেজিত। আমরা জানি যে তিনি প্রতিযোগিতাকে একটি বিস্ময়কর সফলতায় পরিণত করতে সাহায্য করবেন।