শ্রীরামনবমী পালন করা হয় রামচন্দ্রের জন্ম স্মরণ করে। এদিন ভক্তরা সকালে স্নান করে রাম মন্দিরে পূজা অর্চনা করেন, রামায়ণ পাঠ করেন এবং প্রসাদ বিতরণ করেন। অনেকেই মোক্ষদায়ী মর্ত্যলোকের আধ্যাত্মিক নদী সরযূতে স্নান করে। অযোধ্যার সরযূ নদীর তীরে অবস্থিত রাম জন্মভূমি মন্দিরে ভক্তদের বিপুল সমাগম দেখা যায় এইদিন।
রামায়ণ মহাকাব্য অনুসারে, দেবরাজ ইন্দ্র, দৈত্যদের হাতে অসুর হওয়ার আশঙ্কায়, ভয়ে ত্রস্ত হয়ে দেবগণের সাথে স্বর্গের রাজসভায় এসে ভগবান বিষ্ণুকে সাহায্য চান। বিষ্ণু তখন তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, "আমি অযোধ্যার রাজা দশরথের ঘরে রাম নামে অবতার গ্রহণ করব।"
পরবর্তীকালে, মহাদেব শিবের সহায়তায় ঋষি বিশ্বামিত্র রাজা দশরথের কাছে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করান। যজ্ঞের ফলে দশরথের তিনজন স্ত্রী অযোধ্যার রানী কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রার গর্ভে চার পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। রানী কৌশল্যা সুন্দর, সজ্জন, পরাক্রান্ত ও মর্যাদাপূর্ণ রামচন্দ্রকে জন্ম দেন।
শ্রীরামনবমী হল:
শ্রীরামনবমীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা ভগবান রামচন্দ্রের জীবন ও শিক্ষাকে স্মরণ করি, তাঁর মূল্যবোধ ও আদর্শগুলোকে অনুসরণের চেষ্টা করি।
রামায়ণ মহাকাব্য শুধুমাত্র একটি কাহিনী নয়, এটি জীবনযাপনের একটি আদর্শ পথও। রামচন্দ্রের জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি:
আসুন আমরা সকলে শ্রীরামনবমীর এই পবিত্র দিনে ভগবান রামচন্দ্রের শিক্ষাকে অনুসরণ করি, তাঁর আদর্শগুলোকে আমাদের জীবনে প্রয়োগ করি এবং তাঁর জন্মদিনটি আনন্দ ও উৎসবের সাথে উদযাপন করি।