আরবিন্দর সিং লাভলি হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য। তিনি ২০১৭ সাল থেকে পঞ্জাব বিধানসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
লাভলির জন্ম ১৯৭২ সালে পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলায়। তিনি পঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
লাভলি ২০১৭ সালে জলন্ধর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। তিনি পঞ্জাব সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীসভা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, সর্বশেষ তিনি 2022 সাল থেকে পরিবহন মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লাভলি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। যাইহোক, তিনি সমাজসেবা করার জন্যও পরিচিত।
ব্যক্তিগত জীবনলাভলি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের পিতা। তিনি একজন শিখ এবং তিনি সিঁদুর পরা এবং মাংস খাওয়ার জন্য পরিচিত।
রাজনৈতিক কর্মজীবনলাভলির রাজনৈতিক কর্মজীবন উত্থান-পতনের দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে। তিনি একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, কিন্তু তিনি সমাজসেবা করার জন্যও পরিচিত।
২০১৭ সালে জলন্ধর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে লাভলি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি পঞ্জাব সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীসভা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, সর্বশেষ তিনি 2022 সাল থেকে পরিবহন মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লাভলি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। যাইহোক, তিনি সমাজসেবা করার জন্যও পরিচিত।
২০২২ সালে, লাভলি বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) नेता मनजिंदर सिंह सिरसा। সিরসা অভিযোগ করেছিলেন যে লাভলি অবৈধভাবে জমি দখল করেছেন এবং কংগ্রেসের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সাথে আর্থিক লেনদেনে জড়িত।
লাভলি বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে অভিহিত করেছেন।
সমাজসেবারাজনৈতিক কর্মজীবনের পাশাপাশি, লাভলি সমাজসেবায় জড়িত। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি তার ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে বিভিন্ন জনकल্যাণমূলক কাজে অর্থ দান করেছেন।
লাভলি একটি শিক্ষা সংস্থা চালান যা গরিব শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করে। তিনি একটি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থাও পরিচালনা করেন যা গরিব মানুষদের নিখরচায় চিকিৎসা প্রদান করে।
লাভলির সমাজসেবাকে ব্যাপকভাবে প্রশংসা করা হয়েছে। তিনি অনেক পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন, যার মধ্যে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পুরস্কারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিতর্কলাভলির রাজনৈতিক কর্মজীবন বিতর্ক দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে। তিনি একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। যাইহোক, তিনি সমাজসেবা করার জন্যও পরিচিত।
২০১৭ সালে, লাভলির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর সাথে সম্পর্কিত লোকের সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন লাভলি।
২০১৯ সালে, লাভলি একজন ভারতীয় প্রশাসনিক সেবা (আইএএস) অফিসারের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় লাভলির বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং পরে তাকে জামিন দেওয়া হয়।
সিঁদুর পরা এবং মাংস খাওয়ালাভলি একজন শিখ, তবে তিনি সিঁদুর পরেন এবং মাংস খান। এটি কিছু শিখ নেতাদের ক্রোধের সৃষ্টি করেছে, যারা তাকে শিখ ধর্মের বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হওয়ার জন্য раск्षक হিসাবে দেখেন।
লাভলি বলেছেন যে তিনি ধার্মিক শিখ এবং তিনি শিখ ধর্মের মূল্যবোধ অনুসারে জীবনযাপন করেন। তিনি বলেছেন যে তিনি সিঁদুর পরেন এবং মাংস খান কারণ এটি তার ব্যক্তিগত পছন্দ।
ভবিষ্যতলাভলি পঞ্জাবের রাজনীতিতে একটি উঠতি তারকা। তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা এবং তিনি ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন সম্ভবত বিতর্ক দ্বারা আক্রান্ত হবে। তিনি একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন এবং তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব।
যাইহোক, লাভলি একজন প্রতিভাধর রাজনীতিবিদ যিনি পঞ্জাবের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। তিনি রাজ্যের রাজনৈতিক আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হওয়া অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রেফারেন্স: