আলকা ইয়াগনিক ভারতের একজন স্বনামধন্য গায়িকা। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সফল গায়িকা। তার গাওয়া অসংখ্য গান ভারতীয় শ্রোতাদের মনে দাগ কেটে রেখেছে।
আলকা ইয়াগনিক ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হরশ্বরদন ইয়াগনিক এবং মাতার নাম শুভলক্ষ্মী ইয়াগনিক। তিনি তার পিতামাতার একমাত্র সন্তান।
আলকা ইয়াগনিকের গানের জগতে প্রবেশ ঘটে খুবই অল্প বয়সে। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মতো একটি গানে কণ্ঠ দেন। তিনি ১৯৭৯ সালের হিন্দি চলচ্চিত্র "লাজ" এর "মেরে অঙ্গনে মে তুমহারে আয়ে" গানটি গেয়েছিলেন। এই গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।
আলকা ইয়াগনিকের গায়কী জীবন সফলতার শীর্ষে ওঠে ১৯৯০ দশকের দিকে। তিনি এই দশকে অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার গাওয়া কিছু জনপ্রিয় গান হলো "এক দো তিন" (তেজাব), "ছুপা রুস্তম" (ম্যায়নে পেয়ার কিয়া), "তুঝে দেখা তো ইয়া জানে মে" (দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েগে), "পড়দা হটায়া মে" (যমলা পগলা দিওয়ানা: ফির সে আয়া), এবং "দিল মে তুমহারা হি রহু" (দিল হ্যায় তুমহারা)।
আলকা ইয়াগনিক তার গায়কী জীবনে অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মান অর্জন করেছেন। তিনি সাতবার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার, মূলত সেরা নারী প্লেব্যাক সিঙ্গার বিভাগে পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি পাঁচবার আইফা পুরষ্কার এবং একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন।
আলকা ইয়াগনিক ২০০০ সালে নীল ঘটকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক কন্যা রয়েছে যার নাম সায়েশা ঘটক।
আলকা ইয়াগনিক ভারতীয় সঙ্গীত জগতে তার বিশেষ অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি তার মধুর কণ্ঠের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্মের শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। তার গানগুলি আজও ভারতীয় শ্রোতাদের মনে এক বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে।
আলকা ইয়াগনিকের গায়কী জীবন শুধুমাত্র তার গানের সাফল্যের কারণে নয়, বরং তার অনন্য গায়কী শৈলীর জন্যও স্মরণীয়। তিনি তার গানে মনোভাব এবং অনুভূতির এমন এক মিশ্রণ তৈরি করেন যা শ্রোতাদের অনুরণিত করে। তার গানগুলি প্রেম, প্রত্যাশা, হতাশা এবং সবকিছু অনুভূতির প্রকাশ ঘটাতে সক্ষম।
আলকা ইয়াগনিকের গায়কী জীবন ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম সফল এবং দীর্ঘস্থায়ী জীবন। তার গানগুলি শ্রোতাদের প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত এবং আনন্দিত করেছে। তিনি সত্যিই একজন傳奇 গায়িকা যার অবদান ভারতীয় সঙ্গীতে সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।