আলোচনার কেন্দ্রে পাকিস্তান ক্রিকেট স্কোয়াড
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান - ক্রিকেটের ত্রিশক্তিধর। বিশেষ করে এটি যখন তিনদেশীয় সিরিজ হয়, তখন তা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এক দুর্দান্ত ঈদ উপহারের মতো হয়ে ওঠে। তবে বিশ্বকাপের আগে এই তিনদেশীয় সিরিজ বাংলাদেশের জন্য এক ভালো সুযোগ ছিল।
সিরিজটি শুরুর আগেই পাকিস্তানের দলের উপর অনেক চাপ ছিল। কারণ, তারা আসছে বিশ্বকাপের জন্য এখানে এসেছিল। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারেরা চেষ্টা করছেন দল নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। তবে সিরিজে তাদের ব্যাটিং অর্ধেক কাঁচা ও অপর্যাপ্ত শক্তির ছিল, বোলিং ছিল বেশ কিছুটা নির্দিষ্ট এবং ফিল্ডিং ছিল ভয়ঙ্কর। তিনটি ম্যাচে তিনটি ভুলই তাদের দুঃখজনক পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াল।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তাদের ব্যাটিং উপরের স্তরে ছিল।
আবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের বোলিং ছিল ভয়ঙ্কর।
বিশেষ করে তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তাদের ফিল্ডিং ছিল হাস্যকর।
আবার এই সিরিজে কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল।
নতুন অলরাউন্ডার শাদাব খানের ব্যাটিং এবং বোলিং দুটিই সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক।
পরিচিত তরুণ ব্যাটসম্যান বাবার আজম ভালো খেলেছেন।
ফাস্ট বোলার হাসান আলী এখনও দলের জন্য সবচেয়ে বড় আশা।
এটি পাকিস্তানের দলের জন্য একটি হতাশাজনক সিরিজ ছিল। তবে এখন সময় তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার এবং আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করার। তারা যদি এমন একটি দল তৈরি করতে পারে যা তাদের এই তিনটি দিক কার্যকর করা ঘুরতে, তাহলে তারা হতে পারে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী।