আলসেমির জাতীয় দিবস




আহা রে! আলসেমি, তুমি আমাদের এক অচ্ছেদ্য সঙ্গিনী। আমরা সবাইই কমবেশি তোমার রাজ্যে বাস করি, আর জাতীয় আলসেমির দিনে সেই রাজ্যের সীমানা আরও একটু প্রসারিত হয়। তবে এটা তো ফুলের মতো বিষয় নয় যে, ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। আলসেমি আমাদের জীবনে একটা দুর্ভাগ্যজনক জিনিস। তবুও, আজকের দিনে আমরা আমাদের এই দুর্বলতাকে উদযাপন করি, কারণ জানেন তো, আলসেমিও জীবনের একটি অংশ।

আমি জানি, আলসেমি ভয়ানক, কিন্তু আজকের দিনে আমরা এর ছোটখাটো সুখগুলোর কথা ভাবি। যেমন ধরুন, ঠান্ডা শীতের রাতে গরম কম্বলের নিচে আরামে শোয়া, অথবা গরম গ্রীষ্মের দিনে সিলিং ফ্যানের নিচে ঘুম দেওয়া। মনে হচ্ছে আরও কিছু বিষয় যোগ করা যায়, না?

  • পুরো দিন পাজামায় ঘোরাফেরা করা
  • টিভি দেখতে দেখতে দুপুরের খাবারের সময় সারা দিতে পারা
  • ফ্রিজ খুলেই শুধুমাত্র জল খাওয়া

যদিও এই সবগুলোই ক্ষণস্থায়ী আনন্দ, তবুও এগুলোর মূল্য নিশ্চয়ই আছে। তাই আজকের দিনে আলসেমি করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো এই ছোটখাটো সুখগুলোকে আঁকড়ে ধরা।

কিন্তু আলসেমি তো শুধু ঘুমের আর বিশ্রামের জন্যই নয়। এটি আরও অনেক কিছু। এটি সৃজনশীলতার জন্য, নতুন ধারণা তৈরি করার জন্য, আর সবকিছুকে নতুন দৃষ্টি দিয়ে দেখার জন্য। আলসেমি হলো আমাদের মনের একটি অংশ, যা আমাদের জগতের গতি থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়ে জিনিসগুলোকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ দেয়।

তাই আজ জাতীয় আলসেমির দিনে আলসেমি করুন। আপনি যা খুশি তাই করুন, অথবা কিছুই করবেন না। শুধু মনে রাখবেন, আলসেমিও জীবনের একটি অংশ, আর আমাদের সবারই দরকার আছে কিছুটা আলসেমির।

আর হ্যাঁ, যদি আপনি আজকের দিনে কোনো কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। আপনি এই দিনটির সঠিক উদ্দেশ্যটি বুঝতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন:
  • আলসেমির উপকারিতা
  • আলসেমির ইতিহাস
  • আলসেমির উদ্ধৃতি