এশিয়ান পেইন্টসের বীজ রোপিত হয়েছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যে। ১৯৪২ সালে, চারজন উদ্যমী, চম্পকলাল হিরাজি, সুরেশকৃষ্ণ করিয়া, চীমানলাল চোকসি এবং সুরেশচন্দ্র মজমুদার, মুম্বইতে একটি ছোট্ট পেইন্টের দোকান খুলেছিলেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ভারতের পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা থেকেই জন্ম নিয়েছিল এই উদ্যোগ।
প্রাথমিক বছরগুলিকে আর্থিক সংগ্রামের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবুও, ১৯৪৮ সালে, তারা ভারতের প্রথম সিন্থেটিক ইনামেল পেইন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। এই সাফল্য তাদেরকে একটি ছোট্ট ফ্যাক্টরিতে স্থানান্তরিত করতে অনুপ্রাণিত করেছিল, যা তাদের ভাগ্যের সূচনা করেছিল।
এশিয়ান পেইন্টসের সাফল্যের মূলে ছিল তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে অটল বিশ্বাস। তারা রাসায়নিক প্রকৌশল এবং পেইন্ট প্রযুক্তিতে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করেছে, যা তাদের পণ্যের মান আর উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
বছরের পর বছর ধরে, এশিয়ান পেইন্টস তাদের ব্র্যান্ডের অবস্থান নিয়ে অত্যন্ত সচেতন হয়েছে। "হরেক রঙ লাগে জিন্দেগি" তাদের স্লোগান রঙের আনন্দের সাথে জীবনকে উদযাপনের বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। এই ব্র্যান্ডের অসাধারণতা তাদের পণ্যের মান এবং তাদের বিপণন প্রচারের সৃজনশীলতা দ্বারা সমর্থিত হয়।
ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি এশিয়ান পেইন্টস সামাজিক দায়বদ্ধতায়ও বিশ্বাস করে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মতো ক্ষেত্রে বিভিন্ন সিএসআর উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে।
আজ, এশিয়ান পেইন্টস ভারতের শেয়ার বাজারে একটি অগ্রণী শক্তি। এটি পেইন্ট শিল্পের জন্য বেঞ্চমার্ক এবং এর শেয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সমৃদ্ধ রিটার্ন দিয়েছে।
এশিয়ান পেইন্টস তার গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক সম্প্রসারণের সাথে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে। এর লক্ষ্য হল গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা বজায় রাখা এবং বিশ্বজুড়ে একটি শীর্ষস্থানীয় পেইন্ট ব্র্যান্ড হওয়া।