আশুতোষ শর্মা কারা?




আজকালকার তরুণ প্রজন্মের অনেকেই হয়তো এই নাম শোনেননি। এখানে সেই সমস্ত তরুণদের জন্য এবং পাশাপাশি যাদের আশুতোষ শর্মা সম্পর্কে আগ্রহ রয়েছে বা জানতে ইচ্ছে আছে, তাদের জন্য একটা ছোট বিবরণ প্রদান করা হল।

এক বাক্যে বললে আশুতোষ শর্মা ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৫৪ সালের জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে অধুনাতন বাংলাদেশের বরিশাল জেলার ভোলা উপজেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আশুতোষ শর্মা ভারতের শিক্ষাঙ্গনেও বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি ১৯২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ভারতের একটি বিখ্যাত এবং প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতাদর্শে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

আশুতোষ শর্মা ভারতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন ১৮৯০ সালের দিকে। তিনি বহু বছর ধরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতিত্বও করেছিলেন।

১৯২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আশুতোষ শর্মা এই পৃথিবী থেকে চলে যান।

এবার আসি বর্তমান প্রেক্ষাপটে আশুতোষ শর্মার প্রাসঙ্গিকতা কী তা নিয়ে। আজকের তরুণ প্রজন্মকে তাঁর থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে।

  • দেশপ্রেম: আশুতোষ শর্মা ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর দেশপ্রেম আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা।
  • সমাজসেবা: আশুতোষ শর্মা শুধু একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবকও। তিনি দেশের শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাঁর এই সমাজসেবামূলক কাজ আমাদের সকলের জন্য অনুসরণযোগ্য।
  • শিক্ষার গুরুত্ব: আশুতোষ শর্মা শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আজও ভারতের শিক্ষাঙ্গনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে। তাঁর শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রম আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা।

আশুতোষ শর্মা একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাঁর আদর্শগুলি অনুসরণ করে আমরা আমাদের জীবনকে আরও সার্থক করে তুলতে পারি।