মুসলিমদের কাছে আশুরা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি হুসাইন ইবনে আলীকে স্মরণ করে।
ইসলামিক ক্যালেন্ডারের মুহররম মাসের ১০ম দিন পালিত হয় এই দিনটি। এটি শিয়া মুসলিমদের কাছে বিশেষভাবে পবিত্র, যারা এই দিনে ব্যাপকভাবে শোক ও অনুশোচনা প্রকাশ করে।
আশুরা ইসলামের ইতিহাসে এক ট্র্যাজেডির দিন, যা কারবালায় ঘটেছিল। ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার সেনাবাহিনী ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে এই যুদ্ধে হুসাইন এবং তার অনুসারীদের হত্যা করে।
হুসাইন ইবনে আলী ইসলামী বিশ্বে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি এবং চতুর্থ খলিফা আলী ইবনে আবু তালিবের পুত্র ছিলেন।
আশুরা দিনটি মুসলিমরা বিভিন্নভাবে উদযাপন করে। শিয়া মুসলিমরা সাধারণত এই দিনে উপবাস করে, স্মরণসভা এবং শোক মিছিলের আয়োজন করে।
অন্যদিকে, সুন্নি মুসলিমরা সাধারণত এই উপলক্ষে উপবাস করেন এবং প্রার্থনা ও ধর্মীয় প্রতিফলনে অংশ নেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আশুরা শুধুমাত্র মুসলিমদেরই নয়, অন্য ধর্মের মানুষদের দ্বারাও উদযাপিত হচ্ছে। এই দিনটি শোক এবং স্মৃতিচারণের একটি সার্বজনীন প্রতীক হয়ে উঠেছে।
আশুরা আমার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমি নিজেকে হুসাইন ইবনে আলীর আদর্শের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলি। তিনি অন্যায় ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এমনকি মৃত্যুর মুখেও।
আশুরা দিবস আমাকে সত্য এবং ন্যায়ের জন্য দাঁড়ানোর গুরুত্ব সম্পর্কে মনে করিয়ে দেয়। এটি আমাকে আমার নিজের বিশ্বাস এবং নীতির প্রতিফলন করতে সাহায্য করে।
আশুরা ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী উদযাপন। এটি শোক এবং স্মৃতিচারণের একটি দিন, পাশাপাশি সত্য এবং ন্যায়ের জন্য দাঁড়ানোর একটি দিন।
আশুরার দিন আমাদের সকলকে অন্যায় এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য অনুপ্রাণিত করুক, এবং এমন একটি বিশ্ব তৈরি করতে সাহায্য করুক যেখানে সবাই ন্যায়বিচার এবং শান্তিতে বাস করতে পারে।