আস্ট্রিয়ান গ্র্যান্ডপ্রি




এফওয়ানের ২০২২ সালের সবচেয়ে কঠিন রেস ছিল অ্যাড্রিয়াটিক সমুদ্রের তীরে স্থিত স্পিলবার্গের রেড বুল রিংয়ে আয়োজিত অস্ট্রিয়ান গ্র্যান্ডপ্রি। এট আয়োজন ছিল টানটান লড়াই, নাটক এবং বিস্ময়ের এক মিশ্রণ।
রেসটি শুরু হয়েছিল শনির আধিপত্যের মাধ্যমেশ দিয়ে, যারা তাদের কনস্ট্রাক্টর প্রতিযোগী রেড বুলকে পিছনে ফেলে ফ্রন্ট রোতে শুরু করেছিল। তবে রেসের শুরুতেই প্রথম কোণায় রেড বুলের সার্জিও পেরেজ দ্বিতীয় স্থান দখল করে ফেলেন। শনি ড্রাইভার চার্লস লেক্লার্ক, ফের্নান্দো আলনসো এবং ল্যান্ডো নোরিসের দ্বারা পেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত, মাত্র দুই ল্যাপের জন্যই পেরেজ আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
রেসের মাঝামাঝি সময়ে, শনির কার্লোস সাইঞ্জ এবং রেড বুলের ম্যাক্স ভেরস্ট্যাপেনের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় লড়াই শুরু হয়। সাইঞ্জ বেশিরভাগ সময়ই দ্রুত ছিলেন, কিন্তু ভেরস্ট্যাপেন তার দুর্দান্ত ডিফেন্সিভ ড্রাইভিং দক্ষতা দেখিয়ে তাকে পিছনে ফেলে রেখেছিলেন। অবশেষে, সাইন্জ ভেরস্ট্যাপেনের দুর্বলতা খুঁজে পেলেন এবং ৪৮তম ল্যাপে তাকে অতিক্রম করলেন। ভেরস্ট্যাপেনের পিছনে আপনার ব্রোম রাশেলের জন্য দরজা খুলে গেল, যিনি তাকে তৃতীয় স্থান থেকে বঞ্চিত করলেন।
রেসের শেষে একটি বড় বিস্ময় ঘটে। লেক্লার্কের ইঞ্জিনে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয় এবং তিনি রেস থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। এর ফলে সাইঞ্জ জয়ের জন্য রাসেলের পাশাপাশি আসে। সাইঞ্জ দুর্দান্ত প্রতিরক্ষা দেখান, কিন্তু রাসেল রেস জেতার জন্য ৭১তম ল্যাপে তাকে অতিক্রম করতে সক্ষম হন।
অস্ট্রিয়ান গ্র্যান্ডপ্রি একটি অবিস্মরণীয় রেস ছিল। এটি টানটান লড়াই, नाटক and বিস্ময়ের এক মিশ্রণ। রাসেলের জয় এফওয়ানে তার প্রথম, এবং এটি রেড বুলের দাপট কমিয়ে আনে। সাইঞ্জের দ্বিতীয় স্থান তাকে চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে পৌঁছে দেয়, এবং অ্যালোনসোর তৃতীয় স্থান প্রমাণ করে যে স্পেনীয় কিংবদন্তি এখনও দ্রুত ছুটতে পারে।