\আসাঢ়ী একাদশীতে পাপমোচন, ভক্তির সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিন\




আষাঢ়ের গরম ভাদ্রের দুয়ারে। এই আষাঢ় মাস অমাবস্যা ও পূর্ণিমা – দু’দিকেই পবিত্রতার দিন। জ্যৈষ্ঠের শেষদিন পালিত হয় নির্জলা একাদশী। আবার আষাঢ়ের শুক্লা একাদশীতেও আসাঢ়ী একাদশী। এই একাদশীর মাহাত্ম্য অপরিসীম। অনেক পুণ্যফলের অধিকারী।
পদ্মপুরাণে বর্ণিত আছে, দেবতারা অসুরদের কাছে পরাজিত হয়ে বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। বিষ্ণু তখন দেবতাদের উপদেশ দেন যে, আষাঢ় মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে উপবাস পালন করে দেবদেবীদের পূজা করলে অসুরদের পরাজয় নিশ্চিত হবে। দেবতারাও তাই করেন এবং ফলস্বরূপ তাঁরা বিজয়লাভ করেন।
আসাঢ়ের একাদশী তাই শুভকর্মের দিন। শুদ্ধ হওয়ার দিন। এই দিনে সকাল থেকেই উপবাস শুরু করতে হয়। সন্ধ্যায় বিষ্ণুর পূজা করে প্রসাদ গ্রহণ করা হয়।
এই দিন শাস্ত্রজ্ঞানী ব্যক্তিদের সেবা করলে বিশেষ ফল লাভ করা যায়। এই দিনে পীতবরণের সবুজ পাতা ও পুষ্প দিয়ে বিষ্ণুর পূজা বিশেষ শুভ। পূজার পর পাতা ও ফুলগুলো পানিতে ভাসিয়ে দিতে হয়।
আসাঢ়ী একাদশীর দিনে শুধু উপবাস পালন নয়, বরং কিছু বিষয়ের উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হয়। যেমন –
* এই দিন চাল, ডাল, গম, গমের উপাদেয় দ্রব্য এবং নুন খাওয়া উচিত নয়।
* এই দিন শুধু ফল, শাকসবজি, দুধ এবং দই খাওয়া হয়।
* এই দিন অশ্বগন্ধা এবং তুলসী সেবন করলে বিশেষ ভাবে শুভ হয়।
* এই দিন জুয়া খেলা, মিথ্যা কথা বলা, চুরি করা, কামুকতা ইত্যাদি কাজ করা একেবারেই নিষেধ।
যারা এই দিন শাস্ত্রোক্ত নিয়ম অনুযায়ী উপবাস পালন করেন, তাঁরা সকল পাপ থেকে মুক্ত হয়ে বিষ্ণুধাম লাভ করেন। ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় তাঁরা সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন এবং জন্মমৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হন
* *
এই বছর আসাঢ়ী একাদশী পালন হবে [date here]। এই শুভ দিনে আমরা সকলেই বিষ্ণুর আরাধনা করি এবং এই পুণ্যের অংশীদার হই। বিষ্ণুর কৃপায় এই মহামারী থেকে আমরা সকলেই মুক্ত হই এবং সুস্থ থাকি।
জয় শ্রীকৃষ্ণ!