আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী: ইরানের অবিচল নেতা




আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী ইরানের বর্তমান এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। তিনি ১৯৩৯ সালের ১৯ এপ্রিল ইরানের মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেছেন। ধর্মীয় শিক্ষায় শৈশব থেকেই পারদর্শী খামেনেয়ী ১৬ বছর বয়সে কিউমের ধর্মীয় সেমিনারে যোগ দেন। তিনি সায়্যদ হোসেন বরারজানি, আয়াতুল্লাহ মিলানি, আয়াতুল্লাহ বেহেশতি এবং আয়াতুল্লাহ মাখদুমের মতো বিশিষ্ট আলেমদের অধীনে পড়াশোনা করেছেন।
১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের পর খামেনেয়ীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্র পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইরানের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি ইরাক-ইরান যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৮৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেনি মারা যাওয়ার পর খামেনেয়ীকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত করা হয়। সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং সরকার, সংসদ ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা রাখেন।

খামেনেয়ী একজন রক্ষণশীল নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কট্টর সমালোচক। তিনি প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করেন এবং ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের পক্ষে কথা বলেন।

খামেনেয়ী এখনও অবধি সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি এবং দেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তার সমর্থকরা তাকে একজন শক্তিশালী ও দৃঢ় নেতা হিসেবে দেখেন যিনি দেশকে সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা দিয়েছেন। তার সমালোচকরা তাকে একজন একনায়কবাদী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী একটি জটিল এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ইরানের রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং তিনি অবসর নেওয়া পর্যন্ত দেশের ভবিষ্যত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।