১৯৮৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেনি মারা যাওয়ার পর খামেনেয়ীকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত করা হয়। সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং সরকার, সংসদ ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা রাখেন।
খামেনেয়ী একজন রক্ষণশীল নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কট্টর সমালোচক। তিনি প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করেন এবং ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের পক্ষে কথা বলেন।
খামেনেয়ী এখনও অবধি সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি এবং দেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তার সমর্থকরা তাকে একজন শক্তিশালী ও দৃঢ় নেতা হিসেবে দেখেন যিনি দেশকে সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা দিয়েছেন। তার সমালোচকরা তাকে একজন একনায়কবাদী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী একটি জটিল এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ইরানের রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং তিনি অবসর নেওয়া পর্যন্ত দেশের ভবিষ্যত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।