ইতালি বনাম ক্রোয়েশিয়া




ফুটবলের দুই বিশ্বশক্তির মধ্যকার এক উত্তেজনামূলক লড়াই

ফুটবল বিশ্বে দুই দলের মধ্যেকের লড়াই যা সর্বদা উত্তেজনার সৃষ্টি করে তা হলো ইতালি বনাম ক্রোয়েশিয়া। এই দুই দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা দীর্ঘদিনের এবং এটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি, এই দুই দল কয়েকটি মূল্যবান ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। ২০১২ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে, ইতালি পেনাল্টি শুটআউটে ক্রোয়েশিয়াকে পরাজিত করেছিল। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে, ক্রোয়েশিয়া হতাশাজনকভাবে ১-০ গোলে ইতালির কাছে হেরেছিল।

দুই দলের মধ্যকার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেবল ফুটবল মাঠে সীমাবদ্ধ থাকে না। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কারণগুলিও এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে যুগোস্লাভিয়ার বিচ্ছেদ এবং ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতার পর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।

এই উত্তেজনা অতীতে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটিয়েছে। ১৯৯৯ সালের জাতিসংঘ কর্তৃক নজরদারি করা একটি ফুটবল ম্যাচে দর্শক সহিংসতার ঘটনার পর ইতালি এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার সমস্ত ফুটবল ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছিল।

তবে, সময়ের সাথে সাথে উত্তেজনা কমেছে এবং দুই দেশ এখন আরও স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখে। ফুটবল মাঠেও, এই দুই দল একটি ভদ্রতামূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রেখেছে, যদিও মাঝে মাঝে উত্তেজনা তাড়াহুড়ো করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ইতালি এবং ক্রোয়েশিয়া দুটি শক্তিশালী ফুটবল দল হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইতালি চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে, যখন ক্রোয়েশিয়া ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে রানার্স-আপ হয়েছিল।

এই দুই দল যখন মাঠে মুখোমুখি হয়, তখন একটি আকর্ষণীয় লড়াইয়ের প্রত্যাশা করা যায়। উভয় দলই আক্রমণকারী ফুটবল খেলে এবং তাদের প্রতিটিতেই বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে।

তাই যখন ইতালি এবং ক্রোয়েশিয়া মাঠে নামবে, তখন একটি উত্তেজনামূলক এবং মনোজ্ঞ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিন।