ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় দ্বীপ, কি শির মোড়া আছে এখানে?
আমরা সবাই ইতিহাসের রহস্যময় ঘটনার কাহিনী পড়তে ভালবাসি। সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা রহস্যময় ঘটনার দ্বীপগুলোর মধ্যে কিছু দ্বীপ রয়েছে যা এতটাই রহস্যময় যে তাদের মধ্যে কি শিরমোড়া আছে তা এখনো কেউ খুঁজে বের করতে পারেনি। এখানে আমরা কিছু দ্বীপের কথা বলব যেগুলোর ভয়ঙ্কর, রহস্যময় ইতিহাস রয়েছে।
অ্যালকেট্রেজ দ্বীপ
আমরা সবাই অ্যালকেট্রেজ দ্বীপের কথা শুনেছি। এটি একটি কুখ্যাত দ্বীপ যা স্যান ফ্রান্সিসকো উপসাগরের একটি ছোট্ট দ্বীপে অবস্থিত। এই দ্বীপটি এককালে একটি সংশোধনাগার হিসেবে ব্যবহৃত হত, যেখানে কিছু বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অপরাধীদের আটকে রাখা হতো। দ্বীপটির একটি ভয়ানক ইতিহাস রয়েছে, যার মধ্যে বন্দীদের মৃত্যু, পালাবার চেষ্টা এবং দাঙ্গা অন্তর্ভুক্ত। দ্বীপটি এখন একটি জাদুঘর হিসাবে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত, এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হয়ে উঠেছে। তবে, রাতের বেলায় দ্বীপটিতে এখনও কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনার কথা শোনা যায়, যার মধ্যে চিত্কার, শিকল টানার শব্দ এবং ভূত দেখার কাহিনী রয়েছে।
আইল অফ দ্য ডলস
আইল অফ দ্য ডলস মেক্সিকো সিটির খুব কাছে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ। এই দ্বীপটি আস্ত্রোদ-আইল্যান্ড হিসাবেও পরিচিত, কারণটি হচ্ছে দ্বীপটি পুতুল দ্বারা পূর্ণ। এই দ্বীপটির ইতিহাস করুণ এবং ভয়ানক। দ্বীপের প্রাক্তন মালিক আন্টোনিও দি সান্তা আনা হুয়ান পেড্রেজা নামের একটি মেয়ের দেহ তার খালে ভাসতে দেখতে পেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে মেয়েটির আত্মা দ্বীপে এসেছে, এবং তাকে শান্ত করার চেষ্টায় তিনি দ্বীপে পুতুল রেখে দিয়েছিলেন। সময়ের সাথে সাথে, আন্টোনিও আরও পুতুল সংগ্রহ করা শুরু করেন এবং তিনি দ্বীপের সবখানে পুতুল রেখে দিয়েছিলেন। আন্টোনিও 1951 সালে মারা গেলেও তার সংগ্রহ করা পুতুল এখনো দ্বীপে রয়েছে।
পুড়ে যাওয়া দ্বীপ
পুড়ে যাওয়া দ্বীপটি কানাডার নোভা স্কটিয়াতে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ। এই দ্বীপটির একটি ভয়ঙ্কর ইতিহাস রয়েছে, যা 1853 সালের গ্রীষ্মে শুরু হয়েছিল। সেই গ্রীষ্মে, দ্বীপের বাসিন্দারা আগুন জ্বালান এবং এটি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে দ্বীপের বনভূমি পুড়িয়ে ফেলে। দ্বীপের সবকিছু পুড়ে গেছে, এবং কেবলমাত্র কয়েকটি ভবন বেঁচে গেছে। আগুনে সত্তরজনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। দ্বীপের বাসিন্দারা দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং এটি কখনোই পুনর্বাসিত হয়নি। আজ, পুড়ে যাওয়া দ্বীপটি একটি ভৌতিক শহর, এবং এটি কেবলমাত্র মাঝে মাঝে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।
নর্থ ব্রাদার দ্বীপ
নর্থ ব্রাদার দ্বীপটি নিউ ইয়র্ক সিটির কাছে পূর্ব নদীতে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ। এই দ্বীপটি একটি দীর্ঘ এবং রহস্যময় ইতিহাস রয়েছে। 19世紀তে, দ্বীপটি একটি কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত, যেখানে জাহাজ থেকে আসা অসুস্থ যাত্রীদের আটকে রাখা হত। 20 শতকের প্রথম দিকে, দ্বীপটি একটি হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হত, যেখানে যক্ষ্মা এবং অন্যান্য ছোয়াচে রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হত। দ্বীপটি 1963 সালে বন্ধ করা হয়, এবং তখন থেকে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। আজ, নর্থ ব্রাদার দ্বীপটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হয়ে উঠেছে, এবং এটি তার রহস্যময় অতীতের জন্য পরিচিত।
ওক দ্বীপ
ওক দ্বীপটি নোভা স্কটিয়ার দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ। এই দ্বীপটি প্রায় 200 বছর ধরে ধন খোঁজার সাথে সম্পর্কিত। 18 শতকের শেষের দিকে, কিছু কিশোর দ্বীপে একটি গর্ত খনন করে দেখতে পান যে গর্তের নিচে কিছু জিনিস লুকানো আছে। তারা খনন অব্যাহত রাখে এবং তারা একটি পাথরের ফলক খুঁজে পায় যার উপর একটি রহস্যময় অ্যাক্রনেম লিখিত ছিল। তখন থেকে, অনেক লোক দ্বীপে খনন করেছে, এবং কিছু লোক বিশ্বাস করেন যে দ্বীপে খুব মূল্যবান কিছু লুকানো রয়েছে, যেমন হারানো শহর অ্যাটলান্টিস বা পবিত্র গ্রেইল। তবে, দ্বীপে এখন পর্যন্ত কোনও ধন খুঁজে পাওয়া যায়নি, এবং রহস্যটি এখনও অমীমাংসিত রয়েছে।